মাথাব্যাথা দূর করার ঘরোয়া উপায়

সকালে চোখ খুলেই বুঝতে পারছেন মাথা ধরে আছে। ঘুম থেকে উঠতে ইচ্ছে করছে না— কারণ সেই একই, মাথাব্যথা। অফিসে কাজের চাপেও চোখ বুজে আসছে, আবার মাথা ধরা শুরু। অনেকে ঠাট্টা করে বলে— “মাথা আছে, ব্যথা হবেই।” কিন্তু এই ব্যথার পেছনে থাকতে পারে ঘুমের অভাব, দুশ্চিন্তা, পানিশূন্যতা কিংবা চোখের ক্লান্তি। তাই প্রথমেই ঘুমের অভ্যাস ঠিক করুন। যদি তাতেও উপশম না হয়, বা মাথাব্যথা ঘন ঘন হয়, চোখ ঝাপসা দেখা দেয়, মাথা ঘোরে কিংবা বমি বমি ভাব থাকে— তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
এবার জেনে নিন হালকা মাথাব্যথা কমানোর কয়েকটি ঘরোয়া উপায়—
ইয়োগা
ইয়োগা মাথাব্যথা উপশমে অত্যন্ত কার্যকর। চোখের চাপ, স্ট্রেস বা ঘুমের অভাবে যদি মাথাব্যথা হয়, তাহলে ইয়োগা হতে পারে দারুণ সমাধান। সাধারণত টেনশন, ঘুমের ঘাটতি, স্ক্রিনে দীর্ঘ সময় তাকিয়ে থাকা, ডিহাইড্রেশন, ঘাড়-পিঠের পেশিতে টান, কিংবা হরমোনের ভারসাম্যহীনতা থেকেও মাথাব্যথা হয়। ইয়োগার ধ্যান ও শ্বাস-প্রশ্বাস মনকে শান্ত রাখে, স্ট্রেস হরমোন (কর্টিসল) কমায় এবং রক্তপ্রবাহ ঠিক রাখে। এতে চাপ ও ব্যথা দুটোই কমে যায়।
বিশ্রাম ও ঘুম
যথেষ্ট ঘুম না হলে বা অতিরিক্ত ক্লান্তিতে মাথাব্যথা দেখা দেয়। মাথাব্যথা শুরু হলে কিছুক্ষণ চোখ বন্ধ করে অন্ধকার ও নিরিবিলি ঘরে বিশ্রাম নিন। এতে ব্যথা অনেকটাই কমে যাবে। খালি পেটে একটি আপেল খাওয়া বা পানিতে অল্প আপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে খেলে উপকার মেলে।
পর্যাপ্ত পানি পান
পানিশূন্যতা মাথাব্যথার অন্যতম কারণ। তাই মাথাব্যথা অনুভব করলেই প্রথমে ১–২ গ্লাস পানি পান করুন। প্রতিদিন অন্তত ৮–১০ গ্লাস পানি পান করলে শরীর হাইড্রেটেড থাকে এবং মাথাব্যথা প্রতিরোধ করা যায়।
আদা চা
আদা প্রদাহ কমায় ও রক্ত চলাচল বাড়ায়। মাথাব্যথা শুরু হলে এক চা চামচ কুচানো আদা এক কাপ পানিতে ৫ মিনিট ফুটিয়ে চা তৈরি করে পান করুন। চা না খেতে চাইলে শুধু হালকা গরম আদাযুক্ত পানি খেলেও আরাম পাবেন।
লেবুপানি
হজমের সমস্যা বা গ্যাস থেকেও মাথাব্যথা হতে পারে। এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে আধা লেবুর রস ও এক চিমটি লবণ মিশিয়ে পান করলে উপকার মিলবে। চাইলে সামান্য কাঁচামরিচ কুচি মিশিয়ে গরম পানির সঙ্গে খেতে পারেন। এছাড়া পুদিনা তেল কপাল ও কানের পাশে হালকা মালিশ করলেও ব্যথা কমে যায়।