আজ থেকে রাত পর্যন্ত চলবে মেট্রোরেল
এমআরটি-৬ লাইনের প্রথম পর্যায়ের দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও অংশ ২৮ ডিসেম্বর, ২০২২ জনসাধারণের চলাচলের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেন এবং তিনিই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম যাত্রাটি করেন। এটিই বাংলাদেশের সর্বপ্রথম মেট্রোরেল, যা ২৯ ডিসেম্বর, ২০২২ জনসাধারণের জন্যে খুলে দেওয়া হয়। এমআরটি-৬ লাইনের দ্বিতীয় পর্যায়ের আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত অংশে ৫ নভেম্বর ২০২৩ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে আগারগাঁও-মতিঝিল অংশে যাত্রী পরিবহন চলমান রয়েছে।
আজ শনিবার (২০ জানুয়ারি) থেকে উত্তরা-মতিঝিল রুটে সকাল ৭টা ১০ মিনিট থেকে রাত ৮টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত চলবে মেট্রোরেল।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) মেট্রোরেল পরিচালনাকারী কর্তৃপক্ষ ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) পক্ষ থেকে এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
আগে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত মেট্রোরেল চলত। আর উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত চলাচল করছিল মেট্রোরেল।
আজ শনিবার ২০ জানুযারি থেকে উত্তরা-মতিঝিল রুটে সকাল ৭টা ১০ মিনিট থেকে রাত ৮টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত চলবে মেট্রোরেল।
তবে এ সময়ে শুধু এমআরটি ও র্যাপিড পাশধারীরা যাতায়াত করতে পারবেন। আর কাউন্টার থেকে সাধারণ টিকিট কিনে যাত্রীরা সকাল ৭টা ৩০ মিনিট থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলাচল করতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, সর্বশেষ ৩১ ডিসেম্বর চালু হয় মেট্রোরেলের শাহবাগ ও কাওরান বাজার স্টেশন। এর মাধ্যমে এমআরটি-৬ লাইনের দিয়াবাড়ি থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ১৬ স্টেশনই চালু হয়।
প্রতিটি স্টেশনের জন্য আলাদা ভাড়া নির্ধারণ করা রয়েছে। মেট্রোরেলে চলাচলের সর্বনিম্ন ভাড়া ২০ টাকা। আর উত্তরা থেকে মতিঝিল স্টেশন পর্যন্ত ভ্রমণে সর্বোচ্চ ভাড়া ১০০ টাকা।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ২৬ জুন এমআরটি-৬ প্রকল্পের নির্মাণকাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে শুরু হয় ঢাকা মেট্রোর নির্মাণকাজের সূচনা। এমআরটি-৬ এর স্টেশন ও উড়ালপথ নির্মাণের আনুষ্ঠানিক সূচনা হয় ২০১৭ সালের ২ আগস্ট। এদিন উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১২ কিলোমিটারের উড়ালপথ ও স্টেশন নির্মাণ শুরু হয়। ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের স্টেশন ও উড়ালপথ নির্মাণ শুরু হয়।
জাইকা ও ডিএমটিসিএল ২০৩০ সাল নাগাদ ১২৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের মোট ৬টি মেট্রো লাইন নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে। এই নেটওয়ার্কে ৫১টি উড়াল স্টেশন ও ৫৩টি ভূগর্ভস্থ স্টেশন থাকবে। ছয়টি লাইন মিলিতভাবে দিনে ৪৭ লাখ যাত্রী পরিবহন করতে পারবে।