রমজানে শরীর হাইড্রেড রাখতে যা করবেন

সুস্থ থাকতে হাইড্রেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য প্রতিদিন যথেষ্ট পরিমাণে পানি এবং তরল গ্রহণ করা প্রয়োজন। তবে রমজান মাসে দীর্ঘ সময় পানাহার থেকে বিরত থাকার কারণে শরীর প্রাকৃতিকভাবেই পুষ্টি ও ইলেকট্রোলাইট হারিয়ে ফেলে, যার ফলে তৃষ্ণা ও ক্লান্তি অনুভূত হয়।
সেহরি ও ইফতারের সময়ে যে ধরনের তরল পানীয় গ্রহণ করা হয়, তা শরীরের কার্যকারিতা বজায় রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পুষ্টিকর পানীয় নির্বাচন শক্তি পুনরুদ্ধারে সাহায্য করতে পারে, প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে এবং পরবর্তী রোজার জন্য শরীরকে প্রস্তুত করতে সহায়ক। এই সময়ে এমন পানীয় গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয় যা কম চিনি ও ক্যাফেইনযুক্ত, কিন্তু ইলেকট্রোলাইটের মতো হাইড্রেটিং উপাদানে সমৃদ্ধ।
রমজান মাসে পানীয় হিসেবে আপনি নিচের কয়েকটি টিপস অনুসরণ করতে পারেন:
(১) এক গ্লাস পানিতে অর্ধেক লেবু বা এক চিমটি সামুদ্রিক লবণ যোগ করুন। এটি শরীরকে শক্তি যোগাতে সাহায্য করে এবং দ্রুত হাইড্রেট করে।
(২) ঝর্ণার পানি অনেক ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও পটাসিয়াম সমৃদ্ধ, যা রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সহায়তা করে। যদিও এটি কিছুটা ব্যয়বহুল, তবে এর উপকারিতা অনেক।
(৩) নারকেল পানি প্রচুর ইলেকট্রোলাইট ও স্বাস্থ্যকর শর্করা প্রদান করে যা শক্তি সরবরাহে সাহায্য করে। তবে এর স্বাদ যদি বেশি মিষ্টি লাগে, তাহলে পানি যোগ করে তা পাতলা করা যেতে পারে।
(৪) পানির বোতলে তাজা ফলের টুকরো যোগ করলে পানীয়টি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর হয়ে উঠবে। ফলের ভিটামিন আপনার পানীয়কে ক্যালোরি সমৃদ্ধ করবে।
(৫) পরিবার বা বন্ধুদের সাথে কিছু কম উপকারী পানীয় উপভোগ করুন, তবে তার আগে নিশ্চিত হয়ে নিন যে আপনি পর্যাপ্ত পুষ্টিকর পানীয় গ্রহণ করেছেন।
(৬) সাধারণভাবে প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতিদিন ৬-৮ গ্লাস পানি পান করা উচিত, যদিও এটি শারীরিক পরিশ্রম ও লিঙ্গের ওপর নির্ভর করে আলাদা হতে পারে। তবে কমপক্ষে ৬ গ্লাস পানি প্রতিদিন পান করা উচিত।
(৭) ইফতারের সময় এবং পরে ধীরে ধীরে পানি পান করুন। একসাথে বেশি পানি পান করলে পেটে অস্বস্তি হতে পারে।
(৮) শরীরের সঠিক হাইড্রেশন অত্যন্ত জরুরি, তাই পুষ্টিকর পানীয় এবং পর্যাপ্ত পানি পান নিশ্চিত করুন, যাতে আপনার স্বাস্থ্য এবং কোষের কার্যকারিতা বজায় থাকে।