ইফতারিতে যা খাবেন আর যা খাবেন না
বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বেই চলছে পবিত্র রমজান। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা একমাস ধরে সিয়াম সাধনা করবেন। ভোর থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত সবকিছুই পানাহার থেকে বিরত থাকবেন রোজাদাররা। এরপর সন্ধ্যায় ইফতার করবেন। তবে ইফতার করার আগে কিছু বিষয় জেনে নেওয়া জরুরি। আর তা হলে ইফতারে কী খাবনে আর কী খাবেন না। কারণ এর সঙ্গে জড়িত আপনার স্বাস্থ্যঝুঁকি।
ইফতারে যে খাবার খাবেন
সারাদিন রোজা রাখার পর খেজুর আপনাকে তরতাজা করে তুলবে। সে জন্যই হয়তো ইফতারে খেজুর খাওয়ার চল রয়েছে। খেজুরে আছে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম, যা আপনার মাংসপেশী কে করবে সচল এবং আপনাকে দেবে প্রয়োজনীয় পুষ্টি।
গরমে সারাদিন কিছু না খেয়ে থাকার ফলে পানিশূন্যতা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই শরীর কে হাইড্রেটেড রাখার জন্য প্রচুর পরিমাণ পানি। সেই সঙ্গে মেন্যুতে রাখতে পারেন প্রাকৃতিক ফলের জুস। খেতে পারেন লেবুর শরবতও। বাজারের কৃত্রিম জুসের থেকে অনেক ভালো লেবুর শরবত বা ফুলের জুস।
খেজুর আর পানি বা শরবত ইফতারের কমন আইটেম। তারপরের মেন্যু আইটেম নিয়ে থাকে বিপত্তি। এরপরে সবার আগ্রহ থাকে পেঁয়াজু, বেগুনি, আলুর চপ বা এমন মুখরোচক আরও হরেক আইটেম। অনেকের ইফতার টেবিলে ফল থাকলেও, সেগুলোতে আগ্রহ তেমন থাকে না। কিন্তু শরীর ভালো রাখতে মেন্যুতে রাখতেই হবে কাঁচা ফল এবং সবজি।
হালিমের বদলে স্যুপ রাখুন। আমাদের দেশে ইফতারে হালিম হাওয়ার চল রয়েছে। অনেকে সপ্তাহে অন্তত একদিন মেন্যুতে হালি রাখেন। কিন্তু হালিম আপনার পেটের জন্য ক্ষতিকর। এতে থাকে ডাল এবং গরুর মাংস। এই দুই উপাদান আঁশ এবং চর্বিতে ভরপুর। তার উপর আছে বিভিন্ন রকম মশলা। যার ফলে সারাদিন রোজা রেখে হালিম খেলে শরীরের কী অবস্থা হতে পারে একটু ভেবে দেখুন। সেদিক থেকে ভেজিটেবল বা বোনলেস চিকেন স্যুপ হতে পারে বিকল্প আইটেম।
কাঁচা বাদামে আছে প্রচুর পরিমাণ ফ্যাট। পরিমিত পরিমাণ কাঁচা বাদাম খেয়ে দূর করা যেতে পারে সারাদিনের ক্লান্তি। এছাড়াও হজমের জন্য পেঁপে খুব উপকারী। ইফতার শেষ করার আগে খেয়ে নিতে পারেন দুই তিন পিস পেঁপে। রমজানে রোজা রাখার জন্য প্রয়োজন সুস্থতা। সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে ইফতার মেন্যুতে আনতে পারেন পরিবর্তন। যা বদলে দেবে আপনার খাদ্যাভ্যাস। সুস্থ রাখবে আপনার প্রতিটি দিন।
ইফতারে যা খাবেন না
সারাদিন না খেয়ে থাকার পর ইফতারে অধিক ভাজা ও তেল সমৃদ্ধ খাবার পেটে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই তেলে ভাজা খাবার কম খাওয়াই ভালো।
ইফতারে কম মশলাযুক্ত খাবার খান। অধিক মশলাযুক্ত খাবার পেটে গ্যাস্ট্রিকের কারণে সৃষ্ট ক্ষত বাড়িয়ে তোলে এবং যন্ত্রণা বাড়িয়ে দেয়।
ইফতারে খাওয়ার মাঝমাঝি দিকে পানি পান থেকে বিরত থাকতে হবে। এতে হজমে সহায়ক উপাদান সঠিকভাবে নিঃসৃত হবে।
ইফতারে খালি পেটে চা-কফি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। চা-কফি পেটে গ্যাস্ট্রিকের ব্যাথা বাড়িয়ে তুলতে পারে।