কীভাবে বুঝবেন আপনি বিয়ের জন্য প্রস্তুত?

নিজস্ব প্রতিবেদক
জার্নাল ডেস্ক জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১২:২০ PM

বর্তমানে অনেকেই বিয়ে নিয়ে দ্বিধা ও অনিশ্চয়তায় ভুগছেন। পরিবার চাপ দিলেও নিজে আসলেই বিয়ের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত কিনা—তা নিয়ে থাকে প্রশ্ন। তাই জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ভেবে দেখা জরুরি।

সম্ভাব্য সঙ্গীর সঙ্গে মতের মিল:
যাকে বিয়ে করতে যাচ্ছেন, তার সঙ্গে আপনার বিশ্বাস, মূল্যবোধ ও জীবনের উদ্দেশ্যের মিল থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সম্পর্কের আগে নিজের আকাঙ্ক্ষা, চাহিদা ও লক্ষ্য নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করুন এবং সঙ্গীর মতামতও মনোযোগ দিয়ে শুনুন। এতে বুঝতে পারবেন, মানসিকভাবে আপনি কতটা প্রস্তুত।

এ ছাড়া সঙ্গীর পেশা, খাদ্যাভ্যাস, শখ ও জীবনধারা সম্পর্কেও জানুন। সবকিছুতে মিল পাওয়া না গেলেও, বিয়ের পর একে অপরের বিশ্বাস বা আদর্শে যেন আঘাত না লাগে—সেটি আগে থেকেই নিশ্চিত করা বুদ্ধিমানের কাজ।

আবেগ নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা
বিয়ে করতে হলে আপনাকে আবেগীয় দিক থেকে স্থির ও সহনশীল হতে হবে। সঙ্গীর সঙ্গে সুন্দরভাবে কথা বলা, মতবিরোধ হলে শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করা এবং সঙ্গীর ব্যথায় সমব্যথী হওয়ার মতো গুণ আপনার মধ্যে আছে কি না, বুঝতে চেষ্টা করুন। কারণ, অল্পতেই রেগে যাওয়া বিয়ের পর দাম্পত্যে প্রভাব ফেলতে পারে।

পরিণত আচরণের সংকল্প
যেকোনো পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া এবং প্রয়োজনে নতুন পরিস্থিতি থেকে কিছু শেখার মানসিকতা থাকতে হবে। একজন দায়িত্বশীল প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি এই মানসিকতা ধারণ করেন। 

এই মানসিকতা না থাকলে বিয়ের পর জীবনের নানান পরিবর্তনের মুখোমুখি হয়ে আপনি মুশকিলে পড়তে পারেন। ‘আমি কখনও ঘরের কাজ করিনি, এসব আমার কাজ নয়’—এমন ভাবনা মনের ভেতর থাকার অর্থই হলো আপনি বিয়ের জন্য প্রস্তুত নন।

আর্থিক প্রস্তুতি
বিয়ের পর নতুন সংসারের আর্থিক দিকগুলো কীভাবে সামলাবেন, তা ভেবে রাখুন। যার সঙ্গে আপনার বিয়ে হচ্ছে, তার জীবনধারার খরচ সম্পর্কেও ধারণা রাখুন। যখনকার ব্যাপার, তখন দেখা যাবে—এমনটা ভাবা উচিত নয়। 

সংসার শুরু করার পর সব মিলিয়ে কেমন টাকাপয়সা প্রতি মাসে খরচ হতে পারে, সেদিকটা বুঝে নিন। একই সঙ্গে আপনি সেই পরিমাণ অর্থ উপার্জন করেন কি না, সেটাও ভেবে দেখুন।

নিজের সম্পর্কে সচেতনতা
নিজের দোষ–গুণের দিকে মনোযোগী হোন, নিজেকে জানুন। আপনার দোষগুলো বিয়ের পর দাম্পত্যে কেমন প্রভাব ফেলতে পারে, ভেবে দেখুন। নিজের ভেতর ইতিবাচক পরিবর্তন আনার চেষ্টা করুন। নিজের দুর্বলতা, শক্তি ও অভিজ্ঞতার আলোকে যাচাই করুন, বিয়ের মতো দায়বদ্ধতার ভার নিতে আপনি প্রস্তুত কি না।

সহযোগিতামূলক আচরণ
ভেবে দেখুন, পরিবার ও বন্ধুদের প্রতি তো বটেই, সামাজিক সম্পর্কগুলোর ক্ষেত্রেও আপনি অন্যের প্রতি সহযোগী আচরণ করেন কি না। মনে রাখবেন, বিয়ের পর জীবনসঙ্গী ও তার পরিবারের প্রতি আপনার কিছু কর্তব্য থাকবে, তাদের সহযোগিতাও করতে হবে নানাভাবে। এসব বিষয়ে আপনি প্রস্তুত আছেন কি না, যাচাই করে নিন।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া