ন্যাশনাল ব্যাংকের দুই পরিচালকসহ সাবেক এমডির বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট
প্রায় ৮৭ লাখ ১৫ হাজার মার্কিন ডলার যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় শত কোটি টাকা পাচার ও আত্মসাতের অভিযোগে ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের দুই পরিচালক, সাবেক দুই ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি)সহ কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পৃথক দুই মামলার চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত কমিশন বৈঠকে চার্জশিট অনুমোদন দেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম।
২০২৪ সালের ১ এপ্রিল দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়–১ থেকে মামলাদ্বয় করা হয়। দুদকের পরিচালক মো. বেনজীর আহম্মদ বাদী হয়ে মামলা দুটি করেন।
প্রথম মামলার চার্জশিটে আসামি করা হয়েছে—সিকদার রিয়েল এস্টেটের মালিক রিক হক সিকদার, ন্যাশনাল ব্যাংকের সাবেক এমডি শাহ সৈয়দ আব্দুল বারী ও চৌধুরী মোশতাক আহমেদ, সাবেক এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব কার্ড ডিভিশন মাহফুজুর রহমান এবং সাবেক অতিরিক্ত এমডি এম এ ওয়াদুদ ও এ এস এম বুলবুল।
তদন্তে উঠে আসা অন্য কর্মকর্তারা হলেন—উজ্জ্বল কুমার পাল, এ এন এম আহসান হাবিব, সুবীর চন্দ্র কর, তারিকুল ইসলাম খান, মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হক ও মো. শামসুল আলম।
এ মামলায় ২৬ লাখ ২২ হাজার ৪৯৯ মার্কিন ডলার বা ২১ কোটি ৫৩ লাখ টাকা বিদেশে পাচার ও আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনুমোদিত ক্রেডিট কার্ড সীমার অতিরিক্ত অর্থ বিদেশে স্থানান্তর করেন এবং তা গোপন রেখে বৈধতার চেষ্টা করেন।
অপরদিকে, দ্বিতীয় মামলার চার্জশিটে আসামি করা হয়েছে—ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালক রন হক সিকদার। সাবেক এমডি শাহ সৈয়দ আব্দুল বারী ও চৌধুরী মোশতাক আহমেদ, সাবেক এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মাহফুজুর রহমান। সাবেক অতিরিক্ত এমডি এম এ ওয়াদুদ ও এ এস এম বুলবুল।
তদন্তে নাম উঠে আসা আসামিরা হলেন— ব্যাংকটির ভাইস প্রেসিডেন্ট উজ্জ্বল কুমার পাল, এ এন এম আহসান হাবিব, সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট সুবীর চন্দ্র কর, সিনিয়র অ্যাসিটেন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট তারিকুল ইসলাম খান, সাবেক সিনিয়র অ্যাসিটেন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হক ও মো. শামসুল আলম।
এই মামলায় প্রায় ৬০ লাখ ৯২ হাজার ২২৫ মার্কিন ডলার বা প্রায় ৫০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ রয়েছে। দুদকের তদন্তে বলা হয়েছে, আসামিরা ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হতে বিধিভঙ্গ করে বিদেশে অতিরিক্ত ব্যয় করেন এবং পরে দেশে বসে অর্থ পাচারের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন।