মেট্রোরেলে অন্তর্বর্তী সরকারের ১৮৫ কোটি টাকা সাশ্রয়
মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত মেট্রোরেলের ইলেকট্রো-মেকানিক্যাল সিস্টেমের কাজে প্রায় ১৮৫ কোটি টাকা সাশ্রয় করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। দরপত্রের মাধ্যমে সফল দর-কষাকষির ফলেই এই অর্থ সাশ্রয় সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।
মতিঝিল-কমলাপুর সেকশনের ইলেকট্রো-মেকানিক্যাল সিস্টেমের কাজের জন্য ২০১৮ সালের দরপত্রে প্রস্তাব দেওয়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সম্প্রতি নিয়োগ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে কাজের ব্যয় নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পরও, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্দেশে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ দীর্ঘ আলোচনা ও দর-কষাকষির মাধ্যমে কাজের খরচ ৬৫০ কোটি টাকার প্রস্তাব থেকে কমিয়ে ৪৬৫ কোটি টাকায় আনার ক্ষেত্রে উভয়পক্ষের সঙ্গে সমঝোতা করেছে। এর ফলে সরকারের ‘ব্যয় অপ্টিমাইজেশান’ নীতির মাধ্যমে প্রায় ১৮৫ কোটি টাকা নিট সাশ্রয় হয়েছে।
এর পাশাপাশি, পূর্ববর্তী আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্ত মেট্রোরেল স্টেশনগুলো—কাজীপাড়া, মিরপুর-১০ সহ অন্যান্য—মাত্র ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ২.৫ মাসের মধ্যে মেরামত করা সম্ভব হয়েছে, যা পূর্বের সরকারের সময় ও ব্যয়ের তুলনায় উল্লেখযোগ্য সাশ্রয়।
সেবার মানোন্নয়নের জন্য মেট্রোরেলের পিক-আওয়ারে ট্রেনের অপেক্ষার সময় ৮ মিনিট থেকে ৬ মিনিটে কমানো হয়েছে, যা ডিসেম্বরের মধ্যে পাঁচ মিনিটে আনা হবে। এছাড়া পরিষেবার সময় ১ ঘণ্টা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
ভাড়া-বহির্ভূত আয় বৃদ্ধির জন্য স্টেশন ও ট্রেনের অভ্যন্তরে বাণিজ্যিক স্থান, ব্যাংক, এটিএম, সিআরএম বুথ এবং ডিজিটাল বিজ্ঞাপন স্থাপনের চুক্তি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানোর জন্য ১০ মেগাওয়াট ক্ষমতার সোলার প্যানেল স্থাপনের চুক্তিও চূড়ান্ত পর্যায়ে।
প্রকল্পের খরচ সাশ্রয়ের জন্য নকশা সংশোধন, দর বিশ্লেষণ ও প্রতিবেশী রাষ্ট্রের তুলনা করা হচ্ছে। মেট্রোরেলের কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ ও কর্মশালার আয়োজন চলছে। এছাড়া রিয়েল-টাইম প্রযুক্তি হস্তান্তর, DMTCL-এর ইনস্টিটিউশনাল ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি, স্থানীয় চাকুরীর সুযোগ সৃষ্টি এবং স্থানীয় শিল্পের উন্নয়নও অন্তর্বর্তী সরকারের লক্ষ্যভিত্তিক উদ্যোগের অংশ।