এসি চালিয়েও বিদ্যুৎ বিল কমাবেন যেভাবে

গরম যেন এবার তীব্রভাবে ফিরে এসেছে। ঝড়-বৃষ্টি মাঝেমধ্যে হলেও তাপদাহ থেকে রেহাই মিলছে না একটুও। এমন পরিস্থিতিতে দিনের বেলায় এসি চালানো যেন বাধ্যতামূলক হয়ে পড়েছে। আর একবার যখন দিনে চালানো শুরু হয়, তখন সেটা গড়িয়ে পড়ে রাতেও। কিন্তু এসির আরাম যতই হোক, তার সঙ্গে বাড়ছে বিদ্যুৎ বিলও। শুধু এসিই নয়, বাড়ির অন্যান্য বৈদ্যুতিক যন্ত্রও তো নিয়মিতই চলছে। তাহলে কীভাবে সামলাবেন?
চিন্তার কিছু নেই। কয়েকটি সহজ কৌশল মেনে চললেই এসির ব্যবহার হবে কার্যকর, আর বিদ্যুৎ বিলও থাকবে নিয়ন্ত্রণে। চলুন জেনে নিই সেই সহজ টিপসগুলো।
১. এসি পরিষ্কার রাখুন নিয়মিত
অনেকেই এসি দীর্ঘদিন পরিষ্কার না করেই ব্যবহার করেন। এতে যন্ত্রের ভেতরে ধুলো জমে যায়, বাতাস বের হতে বাধা পায়, আর এসির উপর চাপ পড়ে বেশি। এতে বিদ্যুৎ খরচও বাড়ে। তাই প্রতি মাসে অন্তত একবার ফিল্টার খুলে ধুয়ে ফেলুন। বাড়ির বাইরে থাকা আউটডোর ইউনিট যেন সরাসরি রোদে না থাকে, সেদিকেও খেয়াল রাখুন। ছায়ায় থাকলে কমপ্রেসার কম গরম হয় এবং বিদ্যুৎও কম লাগে।
২. ফ্যানের সহায়তা নিন
শুধু এসি চালালে ঘর ঠান্ডা হতে সময় লাগে বেশি। তাই সঙ্গে ফ্যান চালান। এতে ঠান্ডা বাতাস পুরো ঘরে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এসির তাপমাত্রাও তখন একটু বাড়িয়ে দেওয়া যায়, ফলে কম বিদ্যুৎ খরচ হয়।
৩. তাপমাত্রা রাখুন ২৩–২৬ ডিগ্রির মধ্যে
অনেকেই ভেবে থাকেন, তাপমাত্রা যত কম, ঘর তত ঠান্ডা। কিন্তু এতে এসির উপর চাপ পড়ে এবং বিল বাড়ে অনেক বেশি। ২৩ থেকে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রা রাখলে ঘর আরামদায়ক থাকবে এবং বিদ্যুৎও বাঁচবে।
৪. ঘর ঠান্ডা রাখুন স্বাভাবিকভাবেই
দিনের বেলায় জানালা–দরজা বন্ধ রাখুন যাতে বাইরের গরম বাতাস ঢুকতে না পারে। গাঢ় রঙের মোটা পর্দা ব্যবহার করুন সূর্যের তাপ ঠেকাতে। বিকেলে যখন তাপ কমে, তখন জানালা খুলে ঘরের বাতাস চলাচল করান। এতে প্রাকৃতিকভাবেই ঘর ঠান্ডা থাকে।
৫. অপ্রয়োজনীয় আলো নিভিয়ে রাখুন
দিনের আলোতেই যদি কাজ চলে, তবে বাড়তি লাইট জ্বালিয়ে রাখার দরকার নেই। অপ্রয়োজনীয় আলো বন্ধ রাখলে বিদ্যুৎ বাঁচে সহজেই।
এসি চালিয়ে আরাম পেতে চাইলে কিছুটা সচেতন হওয়াই যথেষ্ট। যন্ত্রটা পরিষ্কার রাখুন, ফ্যান ব্যবহার করুন, তাপমাত্রা ঠিক রাখুন আর ঘরের বাতাস চলাচলের সুযোগ করে দিন। এই ছোট ছোট অভ্যাসেই আপনার বিদ্যুৎ বিল কমবে অনেকটাই।