যৌন হয়রানি প্রমাণ হলে পেশায় থাকতে পারবেন না আইনজীবীরা

রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেছেন, কোনো আইনজীবীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ প্রমাণিত হলে তিনি এই পেশায় থাকতে পারবেন না। কারণ তাঁকে আর কেউ বিশ্বাস করবে না। সমাজে হেয় হতে হবে। ফলে আইন পেশায় থাকা তাঁর জন্য দুরূহ হয়ে যাবে। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে ল রিপোর্টার্স ফোরামের (এলআরএফ) কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের আলোকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি এ সভার আয়োজন করে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘হাইকোর্টের রায়ে বলা ছিল, কোনো নীতিমালা না হওয়া পর্যন্ত এই রায়কে আইন হিসেবে মেনে চলতে হবে। তবে সুপ্রিম কোর্টে এমন কোনো যৌন হয়রানি ঘটতে পারে বলে আমরা বিশ্বাস করি না। এখন পর্যন্ত এমন কোনো অভিযোগ পাইনি। ভবিষ্যতে কী হবে, তা জানি না। যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি দায়িত্ব নিয়েছে, তারা বিষয়টি দেখবে। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির গত কমিটি এই উদ্যোগ নিয়েছে। বর্তমান কমিটি তার ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে।’ 

পরে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়। কমিটির সভাপতি হলেন আইনজীবী জেসমিন সুলতানা। বাকি ৯ সদস্যের মধ্যে আছেনু অ্যাডভোকেট রমজান আলী সিকদার, অ্যাডভোকেট রেহানা সুলতানা, ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ ফারুক, অ্যাডভোকেট আঞ্জুমান আরা রানু, ব্যারিস্টার হারুন-অর-রশিদ, অ্যাডভোকেট নিঘাত সীমা, মাহবুবা আক্তার (ব্লাস্ট), শবনম মোস্তারী এবং মাহমুদা আফরোজ মনি।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক শাহ্‌ মঞ্জুরুল হক, সাবেক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুন নুর দুলাল প্রমুখ। এ সময় সমিতির বর্তমান ও সাবেক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

#সমকাল