শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রের ওপর হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ: আপাতত থাকবে পুরোনো কমিটি

নিজস্ব প্রতিবেদক
জার্নাল ডেস্ক জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৪১ AM

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবস্থাপনা (ম্যানেজিং) কমিটি গঠন এবং অ্যাডহক কমিটি বিলুপ্তি সংক্রান্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রের কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।

এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল জারি করে এই আদেশ দেন।

উল্লেখ্য, গত ৮ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ থেকে জারি করা পরিপত্রে বলা হয়েছিল— চলতি বছরের ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করতে হবে এবং আগামী ১ ডিসেম্বরের মধ্যে সব অ্যাডহক কমিটি বিলুপ্ত হবে।

জানা যায়, নিম্নমাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাস্তরের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি প্রবিধানমালা-২০২৪–এ চলতি বছরের ২৮ ও ৩১ আগস্ট সংশোধনী আনে ঢাকাসহ বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ড। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মনোনয়নসংক্রান্ত ১৩(১) বিধি এবং যোগ্যতাসংক্রান্ত ৬৪(৩) সংশোধিত বিধির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এমরান হোসেনসহ চারটি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অ্যাডহক কমিটির সভাপতি গত রোববার রিটটি দায়ের করেন।

আদালতে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ফখরুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর মুহাম্মদ আজমী।

পরে আইনজীবী ফখরুল ইসলাম বলেন, নয়টি শিক্ষা বোর্ডের অধীন প্রায় ২০ হাজারের বেশি বেসরকারি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে। নয়টি বোর্ড ম্যানেজিং কমিটি পরিচালনাসংক্রান্ত প্রবিধানমালায় সংশোধন আনে। এতে দেখা যায় সরকারি, আধা সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান কর্মরত নবম গ্রেডের নিচে নন এমন কর্মকর্তা এবং অবসরপ্রাপ্ত হলে পঞ্চম গ্রেডের কর্মকর্তা—সভাপতি হতে পারবেন। অর্থাৎ বেসরকারি এসব প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পাবলিক সার্ভেন্ট ছাড়া কেউ হতে পারবে না, যা বৈষম্যমূলক। প্রবিধানমালার সংশোধিত ১৩(১) এবং ৬৪(৩) বিধির বৈধতা নিয়ে রিটটি করা হয়।