ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা ভাবছে যুক্তরাজ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক জার্নাল আন্তর্জাতিক জার্নাল
প্রকাশিত: ৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:১৬ AM

যুক্তরাজ্য ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। তিনি বলেন, 'আমরা মনে করি ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া হলে তা ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকটের দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের জন্য সহায়ক হবে।’ 

গস্থানীয় সময় সোমবার (২৯ জানুয়ারি) রাতে লন্ডনে এক অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন এ কথা জানান।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, মঙ্গলবার মধ্যপ্রাচ্য সফরে গেছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। তার আগে হাউজ অব কমন্সে তিনি বক্তব্য দেন। মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে চতুর্থবারের মতো মধ্যপ্রাচ্য সফরে গেলেন ক্যামেরন। গত বছরের নভেম্বরে তিনি ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বগ্রহণ করেছেন।

ডেভিড ক্যামেরন বলেন, ‘ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে চলমান সংঘাত নিরসনে এবং দ্বি–রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথে অগ্রগতি নিয়ে আসাতে ব্রিটেন কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সেই চেষ্টার অংশ হিসেবে ব্রিটেন ও এর মিত্ররা ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা ভাবছে।’

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ব্যাপারে তিনি বলেন, রাষ্ট্রটি কেমন হবে বা কীভাবে গঠিত হবে তা আমাদের নির্ধারণ করা উচিত। সেটি হওয়ার পর আমরা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে জাতিসংঘেও স্বীকৃতি দেওয়ার বিষটি বিবেচনা করব।

ইসরায়েলের দিকে অভিযোগের তীর ছুড়ে ক্যামেরন বলেন, গত ৩০ বছর ধরে ফিলিস্তিনের নাগরিকদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে ইসরায়েল। তাদের এই ব্যর্থতাটুকু স্বীকার করে নিলেই শান্তি এবং অগ্রগতির পট প্রস্তুত হবে।

ইসরায়েলের বিরোধিতার কারণে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের বিষয়টি থমকে আছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। ক্যামেরন বলেন, দ্বি-রাষ্ট্রের আওতায় ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিন দুটো আলাদা দেশ হিসাবে পাশাপাশি থাকা উচিত।

তবে ক্যামেরনের মন্ত্যব্যের বিরোধীতা করেছেন কনজারভেটিভ দলের কয়েকজন ঊর্ধ্বতন সদস্য। সাবেক টোরি (কনজারভেটিভ) মন্ত্রী টেরিজা ভিলিয়ার্স বলেন, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি এগিয়ে নিয়ে এলে তা হামাসের নৃশংসতাকেই পুরষ্কৃতকরা হবে; বিশেষ করে গতবছর ৭ অক্টোবরে ইসরায়েলে ঢুকে হামাস যোদ্ধারা যে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছিল তার প্রেক্ষাপটে।

প্রসঙ্গত, গত ৭ বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়লে হামলা চালায় হামাস। এর প্রেক্ষাপট গাজার নিরীহ মানুষের ওপর বর্বর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। তাদের নৃশংস এ হামলায় এখন পর্যন্ত ২৬ হাজার ৭৫১ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু ও নারী। এছাড়া আহত হয়েছেন ৬৫ হাজার ৬৩৬ জন।