অবশেষে তুরস্কের হাতে আসছে মার্কিন এফ-১৬ যুদ্ধবিমান

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক জার্নাল আন্তর্জাতিক জার্নাল
প্রকাশিত: ২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০১:২৭ PM

দীর্ঘ আলোচনার পর অবশেষে তুরস্কের কাছ এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বিক্রি করছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) ২৩ বিলিয়ন ডলারের চুক্তির অনুমোদন করেছে ওয়াশিংটন। এর আগে ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার জন্য সুইডেনকে অনুমোদন দেয় তুরস্ক।

এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। এছাড়া কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনেও একই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, তুরস্কের কাছে ৪০টি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। মার্কিন এফ-১৬ ছাড়াও ৭৯টি তুর্কি এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের আধুনিকায়নে কিট দেবে যুক্তরাষ্ট্র। এসব নিয়ে আঙ্কারার সঙ্গে ২ হাজার ৩০০ কোটি ডলারের চুক্তি হয়েছে ওয়াশিংটনের।

এর আগে ২০ মাস ঝুলিয়ে রাখার পর সুইডেনের ন্যাটোতে যোগদানের অনুমোদন দেয় তুরস্ক। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) তুর্কি সংসদে সুইডেনের ন্যাটোতে যোগদানের বিষয়ে বিল তোলা হলে ২৮৭-৫৫ ভোটে বিলটি পাস হয়। তুর্কি সংসদে বিল পাস হওয়ার পর এতে সই করেছেন প্রেসিডেন্ট রিসেফ তাইয়্যেপ এরদোয়ান।

রাশিয়ার আগ্রাসনের ভয়ে ২০২২ সালে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য আনুষ্ঠানিক আবেদন করে সুইডেন ও ফিনল্যান্ড। গত এপ্রিলে ফিনল্যান্ড সবুজ সংকেত পেলেও তুরস্ক ও হাঙ্গেরির বাধায় সুইডেনের বিষয়টি ঝুলে ছিল।

পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোতে নতুন সদস্য যুক্ত করতে হলে আগের সব সদস্য দেশের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। ফলে সদস্য দেশ হিসেবে তুরস্কের অনুমোদন ছাড়া ন্যাটোতে যোগ দিতে পারছিল না সুইডেন। মূলত সুইডেন সন্ত্রাসবাদীদের মদদ দেয়, এমন অভিযোগ তুলে ২০ মাস ধরে দেশটির সদস্যপদ আটকে রেখেছিল আঙ্কারা। এ ছাড়া তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বেশ কয়েকবার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দিলেই সুইডেনকে ন্যাটোতে স্বাগত জানাবে তার দেশ।

মার্কিন সংসদের উচ্চকক্ষ সিনেটের বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান ও ডেমোক্র্যাট সিনেটর বেন কার্ডিন বলেছেন, ন্যাটোতে সুইডেনের যোগদানের অনুমোদনের বিনিময়ে আমি তুরস্কের এফ-১৬ কেনার অনুরোধ অনুমোদন দিয়েছি।

এখন তুরস্ক আপত্তি তুলে নেওয়ায় সুইডেনের ন্যাটোতে যোগদানের বিষয়টি এককভাবে হাঙ্গেরির ওপর নির্ভর করছে। তবে হাঙ্গেরির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মিত্র হিসেবে পরিচিত। হাঙ্গেরির অভিযোগ, সুইডেন তাদের দেশের বিরুদ্ধে বৈরী মনোভাব পোষণ করে। যদিও সম্প্রতি দুই দেশের সম্পর্কে কিছুটা উন্নতির লক্ষণ দেখা গেছে।