স্টারবাকের কফি কাপ রেখে চাকরি হারালেন তুরস্কের উপস্থাপিকা ও পরিচালক
টেবিলের ওপর স্টারবাকসের কফি কাপ রেখেছিলেন টিভি উপস্থাপিকা। আর এটাই কাল হলো তার। হারালেন চাকরি। সম্প্রতি স্টারবাকসের একটি কফি কাপ রাখায় চাকরি হারিয়েছেন তুরস্কের পুরস্কারজয়ী উপস্থাপিকা। টেলিভিশনে সংবাদ উপস্থাপনের সময় তার টেবিলে স্টারবাকের ওই কফি কাপ ছিলো। এর পাশাপাশি চাকরি গেছে ওই অনুষ্ঠানের পরিচালকেরও। খবর আনাদোলু এজেন্সির।
জানা যায়, মেলতেম গুনায় নামে ৪৫ বছর বয়সী ওই নারী তুর্কি সংবাদমাধ্যম টিজিআরটি হেবারে দীর্ঘদিন ধরে সংবাদ উপস্থাপনা করছিলেন। কিন্তু গত রবিবার অনুষ্ঠান সম্প্রচারের পরপরই তাকে এবং তার অনুষ্ঠানের পরিচালককে তাৎক্ষণিকভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়।
সম্প্রতি ইসরায়েলপন্থি অভিযোগে তুরস্কে স্টারবাকসের বিরুদ্ধে বয়কট আন্দোলন শুরু হয়েছে। আর সেই মার্কিন কোম্পানির লোগো সম্বলিত কফি কাপ টেবিলে রেখে ক্যামেরার সামনে আসায় তুর্কি জনগণের অনুভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে টিজিআরটি হেবার।
ইস্তাম্বুলভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটি এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা গাজার বিষয়ে তুর্কি জনগণের সংবেদনশীলতা সম্পর্কে জানে এবং নিজেরাও এই অনুভূতির পক্ষে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমরা উপস্থাপিকা ও পরিচালকের পদক্ষেপকে সমর্থন করি না এবং এর তীব্র নিন্দা জানাই। তাদের চাকরির চুক্তি বাতিল করা হয়েছে।
চাকরিচ্যুতির কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, তারা নীতিবিরোধী কাজ করেছেন বলে প্রমাণিত হয়েছে।
তুরস্ক কয়েক দশক ধরে ন্যাটো সদস্য। ধর্মনিরপেক্ষ সরকার থাকার সময় দেশটি ইসরায়েলের সঙ্গেও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখেছিল।
কিন্তু বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ক্ষমতায় আসার পর থেকে আঙ্কারা শক্তিশালী ইসরায়েলিবিরোধী অবস্থান নিয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীকে ‘কসাই’ এবং ইসরায়েলকে ‘সন্ত্রাসী রাষ্ট্র’ বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।