সংস্কারের কারণে মহানবী সা. এর রওজা ভ্রমণে বিধি-নিষেধ আরোপ

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক জার্নাল আন্তর্জাতিক জার্নাল
প্রকাশিত: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:০২ PM

মুসলমানদের নিকট দ্বিতীয় পবিত্রতম স্থান মসজিদে নববী। সেখানে মহানবীর (সাঃ) রওজা শরিফ অবস্থিত। আর মহানবী (সাঃ) এর রওজা শরিফ ভ্রমণে নতুন বিধি-নিষেধ জারি করেছে সৌদি আরব। একজন মুসলিম বছরে মহানবীর (সাঃ) রওজা শরিফে একবারের বেশি যেতে পারবেন না বলে জানিয়েছে সৌদির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়। 

মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

এক বিবৃতিতে সৌদির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বলেছে, কোনো মুসলিম শেষবার ভ্রমণের ৩৬৫ দিন পর আবার মহানবীর (সাঃ) রওজা শরিফে যাওয়ার আবেদন করতে পারবেন। নুসুক বা তাওয়াক্কলনা অ্যাপের মাধ্যমে ভ্রমণ প্রত্যাশীদের এই আবেদন করতে বলা হয়েছে। সে সঙ্গে নিশ্চিত করতে হবে যে, ভ্রমণের আবেদনকারী করোনায় আক্রান্ত নন এবং করোনা রোগীর সংস্পর্শে আসেননি।

মক্কায় আছে গ্র্যান্ড মসজিদ ও মদিনায় নবীজির (সাঃ) মসজিদ। দেশি-বিদেশিরা কাবায় অবস্থিত গ্র্যান্ড মসজিদে নামাজ পড়তে যান। হজ ও ওমরাহ পালনে আসা মুসল্লিরা ছাড়াও মদিনায় অবস্থিত মহানবীর (সাঃ) রওজা শরিফ ভ্রমণে যান অনেকেই। তবে মহানবীর (সাঃ) রওজা শরিফ পরিদর্শন এবং সেখানে প্রার্থনা করতে ইচ্ছুক মুসলিম উপাসকদের সেখানে যাওয়ার আগে সরকারি অনুমতি নিতে হবে।

প্রায় ৬ মাস আগে শুরু হওয়া এবারের মৌসুমে ওমরাহ বা অন্যান্য তীর্থযাত্রার জন্য বিদেশ থেকে প্রায় ১ কোটি মুসলমানের সমাগম হবে বলে প্রত্যাশা করছে সৌদি আরব। গত এপ্রিলে সৌদি কর্তৃপক্ষ মসজিদে নববীর পবিত্র কক্ষের চারপাশে সোনালি পিতলের বেষ্টনী তৈরি করেছিল। কাঠের জায়গায় নতুন এই বেষ্টনী তৈরি হওয়ায় মসজিদের স্থাপত্য দেখতে পারবেন দর্শনার্থীরা।

কর্তৃপক্ষ বলেছে, মহানবীর (সাঃ) রওজা শরিফ এবং মদিনায় নবীর (সাঃ) মসজিদে পবিত্র কোরআনের কপি ধারণ করা কেবিন থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এই বেষ্টনীর নকশা তৈরি করা হয়েছে। খাঁটি পিতলের তৈরি ৮৭ মিটার দীর্ঘ বেষ্টনীটি মহানবীর (সাঃ) রওজা শরিফকে তিন দিক থেকে ঘিরে রেখেছে।

ভ্রমণ প্রত্যাশীদের আগমন ও রক্ষণাবেক্ষণের চাপে এই বেষ্টনীর ক্ষতি হবে না বলেও জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।