ফের বিস্তার লাভ করছে তাপপ্রবাহ
এপ্রিলজুড়ে টানা তাপপ্রবাহের পর মে মাসে বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টির কারণে সেটা কমতে থাকে। তবে গত দুইদিন আবার দেশের বিভিন্ন জেলায় তাপপ্রবাহ বৃদ্ধি পেতে থাকে। চলমান মৃদু তাপপ্রবাহ ৪২ জেলাজেলায় বিস্তার লাভ করেছে, যা আরও বিস্তৃত হতে পারে। বৃষ্টি একেবারেই কমে যাওয়ায় সারাদেশর তাপমাত্রা বেড়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ বুধবার (১৫ মে) তাপদাহ অব্যাহত থাকতে পারে। শুধু তাই নয়, কম বৃষ্টিপাত ও তাপমাত্রা বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে আগামী শনিবার পর্যন্ত। দেশের অধিকাংশ জেলায় এ তাপপ্রবাহ বিস্তৃত হতে পারে।তবে আগামী রোববার থেকে আবার বৃষ্টি বেড়ে কমতে শুরু করবে তাপমাত্রা।
মঙ্গলবার (১৪ মে) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছে নীলফামারীর সৈয়দপুরে ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বগুড়ায় দেশের সর্বোচ্চ ১৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ ছাড়া বাগেরহাটের মোংলায় ১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর বাইরে কোথাও পরিমাপযোগ্য বৃষ্টিপাত হয়নি।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, শনিবার পর্যন্ত তাপমাত্রা বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকবে। এ সময় মূলত মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ থাকতে পারে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। ১৯ মে থেকে আবার বৃষ্টি বেড়ে তাপমাত্রা কমা শুরু করবে।
চলতি মৌসুমে ১ এপ্রিল থেকে তাপপ্রবাহ শুরু হয়। ৬ মে পর্যন্ত দেশের কোনো না কোনো অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে তাপপ্রবাহ। দেশের ইতিহাসে একটানা ৩৭ দিন তাপপ্রবাহের সবচেয়ে বড় রেকর্ড এটি। ৭ থেকে ১২ মে পর্যন্ত ছয় দিন কোথাও তাপপ্রবাহ ছিল না। তবে বৃষ্টি কমে যাওয়ায় সোমবার থেকে সারাদেশে তাপমাত্রা আবার বেড়েছে।
মে মাসের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশের কোথাও কোথাও এক থেকে তিনটি মৃদু অথবা মাঝারি তাপপ্রবাহ এবং ১ থেকে ২টি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। বঙ্গোপসাগরে ১ বা ২টি লঘুচাপ হতে পারে। যার মধ্যে মাসের দ্বিতীয়ার্ধে নিম্নচাপ অথবা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।
চলতি মাসে নদ-নদীতে স্বাভাবিক প্রবাহ বিরাজ করতে পারে। তবে উজানে ভারী বর্ষণের ফলে উত্তরাঞ্চল ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কোথাও কোথাও পানি বিপৎসীমার ওপরে যেতে পারে।