৪ বছর পর দর্শনার্থীদের জন্য খুলছে উত্তর কোরিয়ার সীমান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক জার্নাল আন্তর্জাতিক জার্নাল
প্রকাশিত: ১২ জানুয়ারি ২০২৪, ০৭:৩৭ PM

২০২০ সালে করোনা মহামারির শুরুতে বিদেশি পর্যটকদের জন্য দেশের সীমান্ত বন্ধ করেছিল উত্তর কোরিয়া। মহামারি শেষ হলেও বিদেশিদের জন্য সম্পূর্ণরূপে খোলা হয়নি সীমান্ত। এবার প্রায় চার বছর পর পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত হতে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়া। রাশিয়ার একটি পর্যটক দল প্রবেশ করতে যাচ্ছে দেশটিতে।

আজ শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। এছাড়া ব্লুমবার্গ, এবিসি নিউজ, ফক্স নিউজ, এনডিটিভির প্রতিবেদনেও একই তথ্য জানানো হয়েছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের অন্যতম কঠিন সীমান্ত কড়াকড়ির দেশ উত্তর কোরিয়ায় প্রায় চার বছর পর প্রথমবারের প্রবেশ করতে যাচ্ছে পর্যটকেরা।

উত্তর কোরিয়ার সীমান্তবর্তী রাশিয়ার সুদূর পূর্বাঞ্চলীয় অঞ্চল প্রিমর্স্কি ক্রাইয়ের গভর্নর গত ডিসেম্বরে আলোচনার জন্য পিয়ংইয়ং সফর করেছিলেন। তখনই এই ভ্রমণের সূচি জানিয়ে বিজ্ঞাপন দিয়েছিল ভ্লাদিভোস্টক-ভিত্তিক একটি ভ্রমণ এজেন্সি। রুশ আঞ্চলিক সরকার এ সপ্তাহে টেলিগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে এ কথা বলেছে।

ভ্রমণসূচি অনুসারে, চার দিনের সফরটি শুরু হবে ৯ ফেব্রুয়ারি। পিয়ংইয়ংয়ে বিরতির সঙ্গে এই ভ্রমণে একটি স্কি রিসোর্টও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

বেইজিংভিত্তিক কোরিও ট্যুরসের মহাব্যবস্থাপক সাইমন ককেরেল রয়টার্সকে বলেন, উত্তর কোরিয়ায় তার অংশীদাররা নিশ্চিত করেছে যে, বিশেষ পরিস্থিতিতে রুশ পর্যটকেরা এই সফরে যাচ্ছে। তিনি বলেন, এটা অবশ্যই একটি ভালো ইঙ্গিত। এর মাধ্যমে উত্তর কোরিয়ার দ্বার উন্মুক্ত হওয়ার ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে। যেখানে চার বছরের বেশি সময় কোনো পর্যটক প্রবেশ করেনি সেখানে এমন উদ্যোগ অবশ্যই ইতিবাচক।

উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং-উন এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গত সেপ্টেম্বরে পূর্ব রাশিয়ায় এক বৈঠকে মিলিত হন। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং সামরিক খাতে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন তারা।

উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির কারণে দেশটির সঙ্গে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। তবে পর্যটন এর আওতার বাইরে।

সিউলভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এনকে নিউজ বলেছে, করোনা মহামারি শুরুর এক বছর আগে উত্তর কোরিয়া দেখেছিল চীনা পর্যটকদের ঢেউ। নগদ অর্থের সংকটে ধুঁকতে থাকা দেশটি কেবল চীনা পর্যটকদের দ্বারাই প্রায় সাড়ে ১৭ কোটি ডলার অতিরিক্ত রাজস্ব পেয়েছিল।