ইসরায়েলি পণ্য বয়কট করছে ভারতীয় মুসলিমরা
ফিলিস্তিনের জনগণের সমর্থনে ভারতে মুসলিম দোকানদাররা আর ইসরায়েলি এবং মার্কিন পণ্য মজুত করা বন্ধ করে দিয়েছে। এটি স্থানীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে একটি আন্দোলনের সূত্রপাত করেছে।
আল জাজিরার একটি ভিডিওতে ভারতের একজন দোকানের মালিক মোহাম্মদ নাদিমকে দেখা গেছে। একটি সাক্ষাত্কারে তিনি বলেছিলেন, “আমাদের আয় কিছুটা কমে যাবে, আমরা আসলে তাদের সাথে লড়াই করতে পারব না, তবে আমরা তাদের অর্থনীতিকে বয়কট করতে পারি…। এর ফলে এসব পণ্যের আগে যে চাহিদা ছিল তাও এখন অদৃশ্য হয়ে গেছে। তিনি বলেন, যখন আমরা এটি বয়কট করব, তখন এটির প্রভাব কোথও না কোথাও পড়বে, এবং ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে।
মোহাম্মদ আল জাজিরা জানিয়েছে যে, সে ভারতের কয়েকজন দোকানের মালিকদের মধ্যে একজন যারা বয়কটে অংশ নিচ্ছেন। তার দোকানে পেপসি এবং কোকা কোলার মতো পণ্য আর মজুত নেই বলে জানানো হয়েছে।
বয়কট এই মুসলিম পাড়ায় একটি আন্দোলন শুরু করেছে, বেশ কয়েকটি পরিবার জানিয়েছে, তারাও এসব পণ্য বয়কট করছে।
বয়কটের অংশগ্রহণকারী নয় বছর বয়সী আছার ইমতিয়াজ বলেন, “এটা শোনার পর আমি এসব পণ্য কেনা বন্ধ করে দিয়েছি। আইকনিক ব্র্যান্ডগুলি যেগুলি বাচ্চা হিসেবে পছন্দ করতেন সেগুলি জঘন্য হয়ে উঠেছে। তারা যে অর্থ ব্যবহার করছে তা ইসরায়েলি সরকারকে সমর্থন করছে এবং আমি চাই না যে আর কোনো সহিংসতা ঘটুক। তাই গাজাকে বাঁচাতে আমাদের এই পণ্য কেনা বন্ধ করতে হবে।”
অন্য একজন অংশগ্রহণকারী নিখাত রেহমান বলেছেন, “এটি আমাদের ক্ষুদ্র অবদান। কারণ আমরা এখানকার সাধারণ জনগণ, আমাদের সমর্থন দেখানোর আর কোনো উপায় নেই। তাই, আমি ভেবেছিলাম যদি আমরা এভাবে ইসরায়েলি এবং আমেরিকান পণ্য বয়কট করি, তবে এটি সেখানকার মানুষের জন্য আমাদের কাছ থেকে একটি ছোট অবদান হবে।”
আল জাজিরা জানিয়েছে যে দোকানদাররা বলছেন তাদের গ্রাহকরা এখন বিকল্প ব্র্যান্ড খুঁজছেন। এদিকে, ভারতের সরকার ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভের অনুমতি দিচ্ছে না, কিন্তু ইসরায়েলপন্থী বিক্ষোভে ঠিকই অনুমতি মিলছে।
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি নৃশংসতায় এখন পর্যন্ত প্রায় ১৩ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে প্রায় ৫ হাজারই শিশু। নারী রয়েছে আরও প্রায় ৩ হাজার। এছাড়া আহত হয়েছে প্রায় ৩৩ হাজার মানুষ।
এদিকে গাজার আল শিফা হাসপাতাল অবরুদ্ধ করে রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এর ফলে হাসপাতালে মৃতের স্তুপ পড়ে গেছে। লাশ খুবলে খাচ্ছে কুকুর।