১ মে ঢাকায় বিশাল সমাবেশ করতে চায় বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক
জার্নাল ডেস্ক জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৩৩ PM

আসন্ন ১লা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে ঢাকায় একটি বৃহৎ সমাবেশ আয়োজন করতে চায় বিএনপি। দলটির সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের উদ্যোগে ওইদিন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা শহরেও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

আজ মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের শীর্ষ নেতাদের যৌথসভা শেষে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিকেল ৩টায় অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, “১লা মে মহান শ্রমিক দিবস। এমনই এক দিনে স্বাধীনতার মহান ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ঘোষণা করেছিলেন যে, আমিই একজন শ্রমিক এবং এই পরিচয়ে আমি গর্বিত। তার হাত ধরেই প্রতিষ্ঠিত জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল মহান মে দিবস উপলেক্ষ্যে ঢাকায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় কমিটি ও ঢাকা মহানগর উত্তর দক্ষিণের উদ্যোগে কয়েকটি প্রস্তুতি মিটিং হয়েছে। উপকমিটিও গঠন করা হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় বিএনপির মহাসচিবের উপস্থিতিতে অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা আরও আলোচনা করেছি। কীভাবে সমাবেশ শান্তিপূর্ণ করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।”

তিনি বলেন, “আমরা প্রত্যাশা করছি, শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের লড়াইয়ের প্রথম বিজয়ের দিন মহান মে দিবস। এই দিবসটি আমরা যথাযথভাবে পালন করতে পারবো। এই সমাবেশে ঢাকা মহানগরসহ পার্শ্ববর্তী জেলা সমূহের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত হবেন। এক্ষেত্রে গণমাধ্যমের সহযোগিতাও কামনা করছি। এছাড়াও দেশের সকল মহানগর বা বিভাগ ও জেলায় যার যার উদ্যোগে শ্রমিক দলের কমিটিগুলো মহান মে দিবস পালন করবেন।”

তিনি আরও বলেন, “মহান মে দিবসে আমরা বিশাল সমাবেশ করতে চাই। দিনটি সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় আমরা আশা করছি জনদুর্ভোগ কম হবে। বেলা ২ টায় সমাবেশ শুরু হবে। আমরা বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে প্রধান অতিথি করার চিন্তা করেছিলাম। কিন্তু তিনি খুব সুস্থ নন। তবে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি থাকবেন। পাশাপাশি দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সিনিয়র নেতারা উপস্থিত থাকবেন।”

নজরুল ইসলাম খান বলেন, “বাংলাদেশের শ্রমজীবী মানুষ খুব শান্তিতে নাই। কারণ আমরা আজও বাংলাদেশে আমরা শ্রমজীবী মানুষের জন্য জাতীয় ন্যূনতম মজুরি আদায় করতে পারি নাই। মহান মে দিবসের মূল দাবি ছিল দৈনিক ৮ ঘন্টা কাজ এবং এই দাবির বিজয়ের যে লড়াই ছিল মে দিবসের লড়াই। এর বিজয় লাভ সত্ত্বেও আজও সব শ্রমিক ৮ ঘন্টা কাজের অধিকার পেয়েছে এটা বলা যায় না। ব্রিটিশ-ভারতে আমলে ভারতবর্ষ একটা ডোমিনিয়নের মর্যাদায় আইএলও’র সদস্য ছিল এবং এই প্রথম ওয়াশিংটন কনভেনশনর অনুমোদন করে।”

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, “আজকে অনেক শিল্প-কারখানায় দৈনিক আট ঘণ্টারও বেশি কাজ করা হয়, অনেক ক্ষেত্রে বিনা বেতনে। কাজেই শ্রমিকদের অন্যান্য যেসব দাবি স্বাধীনভাবে সংগঠন করা, স্বাধীনভাবে দর কষাকষি করার অধিকার ও তার‌ ন্যায্য মজুরির অধিকারের পাশাপাশি মে দিবসের মূল দাবি দৈনিক ৮ ঘণ্টা কাজের দাবি আদায়ের বিষয়টাকে সামনে রেখেই এবার মে দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

নজরুল ইসলাম বলেন, “মহান মে দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল শ্রমজীবী মানুষের কতগুলো মৌলিক দাবি জনগণের সামনে উত্থাপন করবে। গণমাধ্যমে এসবের যথাযথ প্রচার হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।”