৯ মাসে চট্টগ্রামে ১২ রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড

রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর গত নয় মাসে চট্টগ্রামে সহিংসতায় প্রাণ গেছে অন্তত ১২ জনের, যাদের মধ্যে নয়জনই বিএনপির নেতা-কর্মী। এ পরিস্থিতিকে উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করেছে পুলিশ, তাদের মতে—রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড বন্ধে সংশ্লিষ্ট দলগুলোর আরও দায়িত্বশীল আচরণ জরুরি।
এদিকে বিএনপি বলছে, দলীয় কোন্দল বা সহিংসতা এড়াতে তারা ইতোমধ্যেই নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। দলের পক্ষ থেকে স্থানীয় পর্যায়ে মনিটরিং বাড়ানো, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা জোরদার এবং বিরোধ মেটাতে আলোচনার পথ খোলা রাখা হয়েছে বলে দাবি তাদের।
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর চট্টগ্রামে ২৮ আগস্ট প্রথম খুন হয় রাউজানে। চলতি মাসেও রাজনৈতিক হত্যার ঘটনা একই উপজেলায়। গত ১৯ এপ্রিল গুলি করে হত্যা করা হয় যুবদল কর্মী মানিককে। এ পর্যন্ত শুধু রাউজানে প্রাণ হারিয়েছেন ছয়জন।
এসব খুনের পেছনে দলীয় কোন্দল এবং বিভিন্ন গ্রুপিংয়ের কারণে রাউজানের বাইরে প্রাণ গেছে নয় বিএনপি নেতা-কর্মীর। এরমধ্যে আছেন উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি থেকে সাধারণ কর্মী।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, দলীয় কোন্দলে মারামারি-সংঘর্ষ যেন সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। জেলা, মহানগর কিংবা কেন্দ্রীয় হুঁশিয়ারি এমনকি বহিষ্কার করেও থামানো যাচ্ছে না এসব ঘটনা।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সানতু বলেন, রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর চট্টগ্রামে গত নয় মাসে রাজনৈতিক সংঘাতে খুন হয়েছেন ১২ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। রাজনৈতিক হানাহানি বন্ধে ভূমিকা নিতে হবে দলকেই। আর তৃণমূল পর্যায়ে দলাদলি নিরসন একা পুলিশের পক্ষে বন্ধ করা সম্ভব নয়।
গেল নয় মাসে সংঘর্ষসহ বিভিন্ন অভিযোগে চট্টগ্রাম বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের অন্তত ৫০ জনকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্র।