মির্জা আব্বাস
জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে ইসরায়েল এমন অপকর্মের সাহস পেত না
-1101037.jpg?v=1.1)
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে ইসরায়েল ফিলিস্তিনে অত্যাচার করতে পারত না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
আজ বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) নয়াপল্টনের গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে প্রতিবাদ মিছিলের আগে অনুষ্ঠিত সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।
এ সময় বিএনপি নেতারা আশঙ্কা করেন, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধে জাতিসংঘ কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে, ভবিষ্যতে অন্য মুসলিম দেশেও আগ্রাসন করবে। এ সময় ইসরায়েলি গণহত্যা বন্ধে মুসলিম দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তারা। ঝড়বৃষ্টি উপেক্ষা করেই প্রতিবাদ মিছিলে যোগ দেন হাজারো নেতাকর্মী।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘যারা এইসব অপকর্মের সহযোগী আমরা যদি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেই তাহলে ইসরায়েলি এ অত্যাচার চলতেই থাকবে। একে একে তারা মুসলিম রাষ্ট্রগুলোকে ধ্বংস করে দেবে। মুসলমানদের সারা বিশ্বের কোথাও টিকতে দেবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি কৃতজ্ঞচিত্তে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কথা স্মরণ করব, যিনি ইরান-ইরাক যুদ্ধ বন্ধে হস্তক্ষেপ করেছিলেন। আমি বিশ্বাস করি, যদি আজকে তিনি বেঁচে থাকতেন এমন ভূমিকা নিতেন যে ইসরায়েল এ অপকর্ম করার সাহস পেতো না।’
গাজায় হামলার নিন্দা জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘ফিলিস্তিনে যে নারকীয় ঘটনা হচ্ছে এটা দেখে আমার মনে হচ্ছে, এটা আমরা ভাবতে পারি যে ফিলিস্তিনের মুসলমানদের প্রতি অত্যাচার করা হচ্ছে। আসলে বিষয়টা তা নয়। ওরা এক সময় ধীরে ধীরে সারা বিশ্বের মুসলমানদের নিঃশেষ করে দেওয়া চেষ্টা করবে। মুসলিম বিশ্বের যে সব মোড়ল দেশ, নিজেদের রাজত্ব কাটানোর জন্য, নিজেরা বেঁচে থাকার জন্য আজকে নেতৃত্ব দিচ্ছে না তাদের প্রতি আল্লাহর অভিশাপ নেমে পড়বে। যদি আজকে এই মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ করতাম, তাহলে এই ইসলায়েলিরা আজকে এই অত্যাচার করতে পারত না। সারা বিশ্বের মুসলিমরা আজকে আমরা খণ্ড-বিখণ্ড হয়ে গেছি।’
সমাবেশে বিএনপি নেতারা জানান, মুসলিম দেশগুলোর ঐক্য না থাকায় ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ হচ্ছে না।
দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘যারা ইসরায়েলকে সমর্থন করে তাদেরকে মত পরিবর্তনের জন্য মুসলিম বিশ্ব যথাযথ ভূমিকা পালন করতে পারে।’
স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘মুসলিম বিশ্বের নেতৃত্বদের আহ্বান জানাব, আজকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আপনাদের ভূমিকা যেহতু প্রশ্নবিদ্ধ, মুসলিম বিশ্বের নেতৃত্বের দাবি আপনারা করতে পারেন না।’
প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে শুরু হয় প্রতিবাদ মিছিল। নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে এতে নেতৃত্ব দেন শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা।
প্রতিবাদ মিছিলে ব্যানার -প্লাকার্ড নিয়ে যোগ দেন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ মহানগর বিএনপির নেতা কর্মীরা। ঝড়বৃষ্টি উপেক্ষা করেই প্রতিবাদ মিছিল এগিয়ে যায়।