ফেরি করে বা খাঁচায় বন্দী করে পাখি বিক্রি; কী বলছে দেশের আইন?

নিজস্ব প্রতিবেদক
জার্নাল ডেস্ক জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৮ মার্চ ২০২৪, ০২:৫০ PM

পাখিরা হলো মুক্ত; বিহঙ্গী এই প্রাণীর বিচরণ আকাশজুড়ে। ডানা মেলে যখন ঝাঁকে ঝাঁকে পাখিরা উড়ে বেড়ায়, এ দৃশ্য দেখে তখন মনের ভিতরে এক ধরণের প্রশান্তি চলে আসে।

ফেরি করে বা খাঁচায় বন্দী করে পাখি বিক্রি; কী বলছে দেশের আইন?

তবে মাঝে মাঝে খাঁচার ভিতরে বন্দী অবস্থায় পাখি দেখা যায়। পাখিকে বন্দী করা তাদের জন্য মৃত্যুদণ্ডের শামিল। অথবা হতে পারে জেলখানা।

ফেরি করে বা খাঁচায় বন্দী করে পাখি বিক্রি; কী বলছে দেশের আইন?

এই জেলখানায় বন্দি অবস্থায় পাখির দেখা মেলে ব্যস্ততম নগরী ঢাকায়ও। ঢাকার বিভিন্ন স্থানে খাঁচায় বন্দি করে ভ্রাম্যমান পাখি বিক্রেতার দেখা মেলে।

এমনই এক পাখি বিক্রেতার দেখা মিলেছে রাজধানীর মুগদা এলাকায়। খাঁচায় বন্দি করে দুইপাশে ঝুলিয়ে বিভিন্ন ধরণের পাখি বিক্রি করতে দেখা গেছে তাকে। 

ফেরি করে বা খাঁচায় বন্দী করে পাখি বিক্রি; কী বলছে দেশের আইন?

এছাড়া রাজধানীর কাটাবনসহ বিভিন্ন স্থানে খাঁচায় বন্দী পাখিসহ বিভিন্ন প্রাণি বিক্রির দোকান রয়েছে। যদিও বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২ এর ৩৮ (১) ধারায় বলা হয়েছে- কোন ব্যক্তি পাখি বা পরিযায়ী পাখি হত্যা করলে সর্বোচ্চ ১ বছররের কারাদণ্ড অথবা এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এছাড়া এটা রিপিট করলে দুই বছর ও দুই লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা দিতে হবে।

ফেরি করে বা খাঁচায় বন্দী করে পাখি বিক্রি; কী বলছে দেশের আইন?

৩৮ (২) ধারায় বলা হয়েছে- কোন ব্যক্তি পাখি বা পরিযায়ী পাখির মাংস সংগ্রহ করলে অথবা পাখি দখলে রাখলে বা ক্রয়-বিক্রয় করলে অথবা পরিবহন করলে তিনি অপরাধ করেছেন বলে গণ্য হবে। এ অপরাধে তিনি সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এবং একই অপরাধ পুনরাবৃত্তি করলে এক বছরের কারাদণ্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

তবে এ বিষয়ে সুস্পষ্ট আইন থাকলেও আইনের বাস্তব প্রয়োগ নেই।