বিলুপ্ত হওয়া পাখিদের তালিকায় ‘কাউয়াই ও ও’
২০২৩ সালে যেমন প্রাপ্তি রয়েছে, তেমনি অনেক কিছুই হারিয়েছে বিশ্ব। স্বাভাবিক জীবনযাবনে প্রকৃতির ভূমিকা অপরিসীম। এর অন্যতম হচ্ছে পশুপাখি। গত বছর শুধু যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই অঞ্চল থেকে ওহাইও ক্যাটফিশ, প্রশান্ত মহাসগরীয় অঞ্চলের বাদুড় এবং মিঠাপানির আট প্রজাতির ঝিনুকসহ আট ধরনের পাখি হারিয়ে গেছে।
বিলুপ্ত হওয়া পাখিদের মধ্যে সর্বাধিক আলোচিত হচ্ছে ‘কাউয়াই ও ও’। পাখিটি দেখতে ছোট এবং এটি চকচকে পালক ও হলুদ-কালো আবরণের জন্য বহুল পরিচিত ছিল। অদ্ভুত ভুতুড়ে ডাকের কারণেও পরিচিতি ছিল পাখিটিরি। ২০২৩ সালে হাওয়াই অঞ্চলের হানিইটার প্রজাতির শেষ প্রজাতি হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে এই পাখিকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।
সংবাদমাদ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন বলছে, বিলুপ্ত প্রজাতি পাখির তালিকার মধ্যে আরও রয়েছে ছোট মারিয়ানা ফ্রুটব্যাট নামের এক ধরনের বাদুড়। এটি গুয়াম ফ্লাইং ফক্স নামেও বেশ পরিচিত।
এছাড়া ওহাইও রাজ্যে থাকা স্কিওটো ম্যাডটম নামের ঝকঝকে ও ছোট আকারের ক্যাটফিশসহ বাকম্যানস ওয়ারব্লার নামের একটি পাখিও এখন বিলুপ্ত। এ প্রজাতির পাখিকে সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণে গ্রীষ্মে এবং কিউবায় শীতে দেখা যেত।
এদিকে চার ইঞ্চি লম্বা আকৃতির বার্ডলেড হোয়াইট আই নামের পাখিও এখন বিলুপ্ত। গুয়াম দ্বীপে দেখা যেত এই পাখি। এ প্রজাতির পাখির চোখের চারপাশে একটি বলয় দেখা যেত।
এ ব্যাপারে গবেষক রাসেল কিংসেল বলেন, আট প্রজাতির পাখি হাওয়াই দ্বীপ থেকে হারিয়ে গেছে। আরও চার প্রজাতি এখন বিলুপ্তির শঙ্কায়। এভিয়ান ম্যালেরিয়ার হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে পখিদের জন্য। আবার জলবায়ু সংকটের জন্য স্থানীয় আবহাওয়ার ধরনে পরিবর্তন এসেছে। ফলে ঝুঁকিতে রয়েছে এসব প্রজাতির পাখিরা।