মানবাধিকার বিষয়ে জাতিসঙ্গের ৩ বিষেষজ্ঞের বক্তব্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অসন্তোষ
বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির মানের অবনতি ঠেকাতে জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলকে কাজে লাগাতে সংস্থাটির তিন বিশেষজ্ঞ সম্প্রতি যে আবেদন জানিয়েছেন, সে বিষয়ে সরকার অসন্তোষ প্রকাশ করেছে।
আজ মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ অসন্তোষের কথা জানায়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, জাতিসংঘের তিন বিশেষজ্ঞ আইরিন খান, ক্লিমেন্ট নেয়ালেটসোসিভোল ও ম্যারি লোয়ের বাংলাদেশের বিষয়ে বিবৃতিটি প্রকাশের জন্য যে সময়টি বেছে নিয়েছেন এবং তাতে যা বলেছেন, তাতে তাঁদের মতলব নিয়ে প্রশ্ন তোলার অবকাশ আছে।
জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলে বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় ১৩ নভেম্বর। পরদিন ১৪ নভেম্বর তিন বিশেষজ্ঞ বিবৃতিটি প্রকাশ করেন।
তিন বিশেষজ্ঞের বক্তব্য তাঁদের বিশ্ব সংস্থাটি থেকে অর্পিত নির্দিষ্ট দায়িত্ব ও এখতিয়ারের সঙ্গেও সংগতিপূর্ণ নয় বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মনে করে।
মন্ত্রণালয় বলছে, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে মানবাধিকার কাউন্সিল, এর সদস্য রাষ্ট্রগুলো ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আকুতি প্রকাশ করে তিন বিশেষজ্ঞ এখতিয়ারবহির্ভূত কাজ করেছেন।
তিন বিশেষজ্ঞের একজন বাংলাদেশের নাগরিক—এমনটি উল্লেখ করে মন্ত্রণালয় বলেছে, তিনি বাংলাদেশ ছাড়া অন্য দেশগুলোয় মানবাধিকারের বিষয়ে নীরবতা অবলম্বন করে থাকেন। এতে তাঁদের কাজে পক্ষপাত ও বিশ্বাসযোগ্যতার অভাব দেখা দেওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়।