১. ক্ষোভ পুষে রাখা
ক্ষোভ পুষে রাখাটা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। রাগ ও তিক্ততা আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে। এর ফলে হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, কম শক্তি, উদ্বেগ, বার্ধক্য এবং সম্পর্কের অবনতির সমস্যা দেখা দিতে পারে। ক্ষমা করে দিলে রক্তচাপ কমে এবং মানসিক সুস্থতা বাড়ে, যা আমাদের শারীরিক স্বাস্থ্যও ভালো রাখে।
২. ডেস্কে দুপুরের খাবার খাওয়া
ডেস্কে খাওয়া বেশ সহজ, তবে এটি ওজন বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। গবেষণা দেখিয়েছে যে, খাওয়ার সময় মনোযোগ না দিলে খাবার উপভোগ করা কঠিন হয় এবং আমরা বুঝতে পারি না কখন আমাদের পেট ভরে গেছে। এজন্য খাবার উপভোগের জন্য ইলেকট্রনিক্স বন্ধ রাখা এবং কাজ থেকে বিরতি নেওয়া ভালো।
৩. অতিরিক্ত একা সময় কাটানো
একাকীত্বের কারণে মস্তিষ্কে উদ্দীপনা কমে যায়, যা হতাশা, উদ্বেগ বা ডিমেনশিয়া তৈরি করতে পারে। সামাজিক যোগাযোগের অভাব মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে, তাই বন্ধুবান্ধব বা পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো জরুরি।
৪. অতিরিক্ত বসে থাকা
অনেকক্ষণ বসে থাকলে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, স্থূলতা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি বেড়ে যায়। দীর্ঘক্ষণ বসে থাকলে মৃত্যুর ঝুঁকি দ্বিগুণ হতে পারে, তাই বসে থাকার সময় কমানো উচিত।
৫. পর্যাপ্ত পানি না পান করা
শরীরের ৬০% পানি দিয়ে তৈরি, তাই পর্যাপ্ত পানি পান করা স্বাস্থ্যর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পানি পান করলে ত্বক সজীব থাকে, শরীর ঠান্ডা থাকে এবং কিডনি বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে।
৬. রাতে দেরিতে খাওয়া
রাতে দেরিতে খাওয়া ওজন বৃদ্ধি ও ঘুমের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষত, গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ (GERD) থাকলে ঘুমানোর তিন ঘণ্টা আগে খাওয়া উচিত, নয়তো অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা হতে পারে।
৭. অতিরিক্ত চিনি খাওয়া
অতিরিক্ত চিনি খাওয়া ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, ক্যান্সার, লিভার ও কিডনি রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। গবেষণায় দেখা গেছে যে, চিনির অতিরিক্ত পরিমাণ মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ও মানসিক সুস্থতাও প্রভাবিত করে। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের মতে, পুরুষদের জন্য ৯ চা চামচ এবং নারীদের জন্য ৬ চা চামচের বেশি চিনি খাওয়া উচিত নয়।
এই অভ্যাসগুলো সচেতনভাবে এড়ানো আমাদের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করতে পারে।