১. বুকে ব্যথা বা অস্বস্তি: এটি হৃদরোগের সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ। অনুভূতি হতে পারে চাপ, জ্বালাপোড়া বা সংকোচনের মতো, যা দীর্ঘসময় স্থায়ী হতে পারে।
২. অতিরিক্ত ক্লান্তি ও দুর্বলতা: স্বাভাবিকের চেয়ে দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়া, এমনকি বিশ্রামের পরও সুস্থ না অনুভব করা, বিশেষ করে নারীদের মধ্যে এই লক্ষণ বেশি দেখা যায়।
৩. শ্বাসকষ্ট: ব্যায়াম না করলেও শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া এবং বুক ভরে শ্বাস নিতে না পারা। এটি হৃদরোগের পূর্ব লক্ষণ হতে পারে।
৪. কাঁধ, বাহু, ঘাড় বা চোয়ালে ব্যথা: বিশেষ করে বাম হাতে ব্যথা ছড়িয়ে পড়া, ঘাড়ে বা চোয়ালে চাপ অনুভব হওয়া এবং ব্যথা সময়ের সাথে বৃদ্ধি পেতে পারে।
৫. মাথা ঘোরা ও বমিভাব: সামান্য পরিশ্রমে মাথা ঘোরানো, ভারসাম্য হারানো এবং বুকের ব্যথার সাথে বমি বোধ হওয়া। এগুলো দ্রুত চিকিৎসক দেখানোর প্রয়োজন।
৬. ঠান্ডা ঘাম: কোনো কারণ ছাড়াই ঘাম হওয়া বা শরীর ঠান্ডা অনুভব করা। নারীদের মধ্যে এই লক্ষণটি বেশি দেখা যায়।
৭. অনিয়মিত হৃদস্পন্দন: হৃদস্পন্দন দ্রুত বা ধীর হওয়া, বুক ধড়ফড় করা, বা কখনো কখনো শ্বাস বন্ধ হয়ে আসার অনুভূতি।
৮. পেটের সমস্যা ও হজমের অসুবিধা: পেটে ব্যথা, গ্যাস, বুক জ্বালাপোড়া, হঠাৎ পেট ভারী লাগা বা খাবার হজম না হওয়া—অনেকেই এগুলোকে সাধারণ অ্যাসিডিটি মনে করে ভুল করেন, তবে এগুলোও হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ হতে পারে।
কখন সতর্ক হবেন?
- একাধিক উপসর্গ একসাথে দেখা দিলে।
- ব্যথা বা অস্বস্তি ৫ মিনিটের বেশি স্থায়ী হলে।
- বিশ্রাম বা ওষুধের পরও কোন আরাম না পাওয়া।
প্রতিরোধের উপায়
- স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন (কম চর্বিযুক্ত, উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার খান)।
- নিয়মিত হাঁটাহাঁটি বা ব্যায়াম করুন।
- ধূমপান ও অ্যালকোহল পরিহার করুন।
- স্ট্রেস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
সচেতনতা ও সতর্কতা গ্রহণ করলে হৃদরোগ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।