১. ক্ষমা
আপনি কি দীর্ঘদিন ধরে কোনো ক্ষোভ পুষে রেখেছেন? ক্ষমা শুধু অন্যকে মুক্তি দেওয়া নয়, এটি আপনার মনকেও বিশৃঙ্খলা থেকে মুক্ত করে। হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের গবেষণায় দেখা গেছে, ক্ষমা রক্তচাপ কমায়, উদ্বেগ কমায় এবং হৃদয়ের স্বাস্থ্যও উন্নত করে। রাগ ধরে রাখা মানে নিজেকে ক্ষতি করা। তাই ক্ষমা করে মনকে মুক্ত করুন এবং বিষমুক্ত হোন।
২. মাইন্ডফুলনেস
আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, মাইন্ডফুলনেস বা সচেতনতা অনুশীলন স্ট্রেস এবং হতাশা কমাতে সাহায্য করে, পাশাপাশি মনোযোগ এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে। মাইন্ডফুলনেসের জন্য বিশেষ কিছু দরকার নেই, যেমন চায়ের স্বাদ গ্রহণের সময় তার গন্ধ, উষ্ণতা এবং স্বাদ নিয়ে মনোযোগ দিন। এতে আপনি সচেতনভাবে বর্তমান মুহূর্তে থাকতে পারবেন।
৩. মেডিটেশন
মেডিটেশন মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত করার একটি চমৎকার উপায়। এটি মস্তিষ্কের অ্যামিগডালা অংশকে সঙ্কুচিত করে এবং প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্সকে শক্তিশালী করে, যা যুক্তিসঙ্গত চিন্তা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের সাথে সম্পর্কিত। নতুন? শুরুতে প্রতিদিন ৫ মিনিট চেষ্টা করুন। বসে থাকুন, চোখ বন্ধ করুন এবং শ্বাস-প্রশ্বাসে মনোযোগ দিন।
৪. ব্যায়াম
আপনাকে ম্যারাথনের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে না, কিন্তু কিছুটা শারীরিক কার্যকলাপ আপনার মস্তিষ্কের জন্য উপকারী। দ্রুত হাঁটা, যোগব্যায়াম বা সোজা বাড়িতে নাচ করাও উপকারি হতে পারে। ব্যায়াম এন্ডোরফিন নিঃসরণ করে, যা মেজাজ ভালো রাখে এবং স্ট্রেস কমায়। ৩০ মিনিটের মাঝারি ব্যায়ামও মেজাজের উন্নতি করতে পারে।
৫. কৃতজ্ঞতা
কৃতজ্ঞতা কেবল কথায় নয়, এটি মানসিক সুস্থতার জন্য অত্যন্ত জরুরি। নিয়মিত কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলে হতাশা কমে এবং জীবনের প্রতি সন্তুষ্টি বৃদ্ধি পায়। দিনের শুরুতে এমন কাউকে ধন্যবাদ দিন, যিনি আপনার দিনটিকে ভালো করেছেন। ছোট ছোট জিনিসের প্রশংসা যেমন, সকালে চায়ের স্বাদ বা প্রতিবেশীকে ধন্যবাদ জানানো, এগুলো মানসিক সুস্থতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
এই সহজ এবং কার্যকরী উপায়গুলোর মাধ্যমে আপনি আপনার মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে পারবেন এবং একটি সুখী, সুস্থ জীবন যাপন করতে পারবেন।