জবি শিক্ষার্থী হত্যায় বিচারের দাবিতে থানা ঘেরাও

নিজস্ব প্রতিবেদক
জার্নাল ডেস্ক জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ২০ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:৪৫ AM

পুরান ঢাকার আরমানিটোলার পানির পাম্প গলিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়–এর শিক্ষার্থী জুবায়েদ আহামেদের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে তারা বংশাল থানা ঘেরাও করে সড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করছেন। এর আগে তারা তাতীবাজার মোড় অবরোধ করেন।

রোববার (১৯ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১২টার দিকে শুরু হয় থানাঘেরাও কর্মসূচি। এর আগে রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা তাতীবাজার মোড়ে অবস্থান নেন এবং রাত ১১টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি চালান।

এসময় শিক্ষার্থীরা, আমার ভাই মরলো কেনো প্রশাসন জবাব চাই, আমার ভাই কবরে খুনী কেনো বাহিরে, ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন। 

এদিকে রাত ১১ টার দিকে ওই ছাত্রী বর্ষাকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ ওই ছাত্রীকে হেফাজতে নেয়। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনো বিবৃতি পাওয়া যায়নি। এদিন রাত ১১ টার সময় আরমানিটোলার নূরবক্স রোড়ের নিজ বাসা থেকে তাকে পুলিশ প্রটোকলে পুলিশের গাড়িতে তোলা হয়। এর আগে, রাত ১০ টা ৫০ এর সময় খুনের শিকার জোবাইদ হোসাইনের লাশ ময়না তদন্তের জন্য মিডফোর্ড হাসপাতালে নেয় পুলিশ।

এ বিষয়ে লালবাগ জোনের ডিসি মল্লিক আহসান উদ্দিন সামী বলেন, প্রাথমিকভাবে ছাত্রীকে আটক করা হয়েছে এবং বাড়ির অন্য সদস্যদেরও হেফাজতে রাখা হয়েছে। এছাড়া সিসিটিভির ফুটেজ দেখে ইতোমধ্যে আমরা দুইজনকে শনাক্ত করতে পেরেছি। তাদের আটকের জন্য আমাদের কয়েকটি টিম মাঠে কাজ করছে। আশা করি খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে তাদেরকেও আটক করতে সক্ষম হবো। এখন এর বেশি কিছু বলতে পারছি না।

এর আগে, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে টিউশনির বাসার সিঁড়িতে ছুরিকাঘাত করে খুন করা হয় জুবায়েদকে। এর দেড় ঘন্টা পর ক্যাম্পাসে ঘটনা জানাজানি হলে ওই বাসা ঘিরে রাখে পুলিশ। পরে দীর্ঘ সাড়ে ছয় ঘন্টা ধরে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও পিবিআই তদন্ত করে প্রাথমিক আলামত সংগ্রহ করে।