রাকসুর ভোটগ্রহণ শুরু
-1160925.jpg?v=1.1)
৩৫ বছর পর শুরু হয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেটের ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
ভোট শেষে বিকেল ৫টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে ১৭টি কেন্দ্রের ভোট গণনা শুরু হবে। এর আগে সকাল সোয়া ৭টার দিকে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের মধ্যে হালনাগাদ ভোটার তালিকা, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স, ওএমআর ব্যালট পেপার, অমোচনীয় কালি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম বিতরণ করা হয়।
রাকসু নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা কামাল আকন্দ জানান, সব কেন্দ্রেই যথাসময়ে ব্যালট বাক্সসহ নির্বাচনী সরঞ্জাম পৌঁছে গেছে। সুষ্ঠু ভোটগ্রহণ নিশ্চিতে ক্যাম্পাসে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি স্থাপন করা হয়েছে ১০০টি সিসি ক্যামেরা। নেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
রাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ২৮ হাজার ৯০১ জন, যার মধ্যে ৩৯ দশমিক ১ শতাংশ নারী ও ৬০ দশমিক ৯ শতাংশ পুরুষ। ৮৬০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় রাকসুর ২৩ পদে ৩০৫ জন, সিনেটের ৫ পদে ৫৮ জন এবং ১৭টি হল সংসদের ২৫৫ পদে ৫৫৫ জন লড়ছেন।
ভোটগ্রহণ হচ্ছে ৯টি একাডেমিক ভবনের ১৭টি কেন্দ্রে। এতে ২১২ জন শিক্ষক দায়িত্বে আছেন—এর মধ্যে ১৭ জন প্রিসাইডিং অফিসার এবং বাকিরা সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে। এছাড়া ৯১ জন পোলিং অফিসার দায়িত্ব পালন করছেন।
নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ক্যাম্পাসে মোতায়েন করা হয়েছে দুই হাজার পুলিশ সদস্য, ৬ প্লাটুন বিজিবি ও ১২ প্লাটুন র্যাব। সব ভোটকেন্দ্রে থাকবে সিসিটিভি নজরদারি এবং স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ব্যবহার করা হবে।
প্রসঙ্গত, এবার রাকসুতে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির সমর্থিতসহ মোট ১১টি প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে। নির্বাচনে ২৩টি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২৪৭ জন প্রার্থী। এর মধ্যে ভিপি পদে ১৮, জিএস পদে ১৩ এবং এজিএস পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৬ জন। এছাড়া বাকি ২০টি পদে ২০০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।