ঢাবিতে ৪০তম শোক দিবসে জগন্নাথ হলে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন ও নীরবতা পালন
-1151107.jpg?v=1.1)
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে ৪০তম শোক দিবস উপলক্ষে মোমবাতি প্রজ্বালন ও নীরবতা পালন করেছে শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতাকর্মীরা। ১৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় জগন্নাথ হলের শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের ১নং যুগ্ম সম্পাদক মমিনুল ইসলাম জিসান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফ বিল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আহমদ সাদ্দাম মীর, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক নাহিদ খন্দকার, আহ্বায়ক স্যার এএফ রহমান হল ছাত্রদল সায়মন সিদ্দিক ফেরদৌস, মহব্বত আলী জয়সহ শতাধিক নেতা-কর্মী ও শিক্ষার্থী।
কর্মসূচিতে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করে ৪০ বছর আগে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণ করা হয়।
কর্মসূচিতে নেতারা বলেন, “যে দূর্ঘটনায় ৪০ জন শিক্ষার্থী কর্মচারী শাহাদাত বরণ করেছিলো, আমরা সেই দু্র্ভিষহ ঘটনা স্মরণ করে এখনো শোকাহত ও বিমর্ষ হয়ে যাই। আমরা চাই আর যাতে অবকাঠামোগত দুর্বলতার কারনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি শিক্ষার্থীর জীবনও বিপণ্ন না হয়, হুমকির মুখে না পরে। জরাজীর্ণ ঝুঁকিপুর্ণ হলগুলোর বিষয়ে এখনই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা উচিত।”
উল্লেখ্য, জগন্নাথ হল ট্রাজেডি হয়েছিল ১৯৮৫ সালের ১৫ অক্টোবর। দিনটি ছিল মঙ্গলবার। বিটিভির পর্দায় চলছিল মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে নির্মিত জনপ্রিয় ধারাবাহিক নাটক ‘শুকতারা’। আর সেই নাটক দেখতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জগন্নাথ হলের ১৫০ বছরের পুরনো অনুদ্বৈপায়ন নামের ভবনের দোতলার টিভি কক্ষে ভিড় করেছিলেন ২৫০-৩০০ জন। হঠাৎ বিকট শব্দে ছাদের মাঝখানের অংশ ভেঙে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে ধুলায় অন্ধকার হয়ে যায় পুরো কক্ষ। ঘটনাস্থলেই মারা যান ৩৪ জন। পরে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়। তাদের মধ্যে ২৬ জন ছিলেন ছাত্র, ১৪ জন ছিলেন কর্মচারী ও অতিথি।