চারির বাজারে যে বাড়তি দক্ষতা আপনাকে এগিয়ে রাখবে
যতো দিন যাচ্ছে ততোই চাকরির বাজার হয়ে উঠছে প্রতিযোগিতাপূর্ণ। জনসংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি বেড়েছে চাকরির চাহিদাও। তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নের এই সময়ে চাকরির বাজার অনেক বেশি প্রতিযোগিতাপূর্ণ এবং একইসঙ্গে বৈচিত্র্যপূর্ণ। তাই বর্তমান চাকরির বাজারে টিকে থাকতে এবং পদোন্নতি পেতে নির্দিষ্ট বিষয়ে দক্ষতার পাশাপাশি কিছু সফট স্কিল বা বাড়তি দক্ষতারও প্রয়োজন। ভালো চাকরি পেতে এবং কর্মক্ষেত্রে উন্নতি করতে নিজের কিছু বাড়তি দক্ষতা দরকার। ক্যারিয়ারে উল্লেখযোগ্য উন্নতি করতে সহায়ক এমন পাঁচটি সফট স্কিল সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
১. যোগাযোগ দক্ষতা
সব ধরনের চাকরির ক্ষেত্রেই যেগাযোগের দক্ষতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি গ্রাহক কিংবা সহকর্মীদের সঙ্গে কীভাবে কথা বলেন, ইমেইল আদান-প্রদান করেন তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। বর্তমানে বেশিরভাগ যোগাযোগ ইমেইল, টেক্সট, চ্যাট ও ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে হয়। তাই কর্মক্ষেত্রে ভালো করতে যোগাযোগ দক্ষতা বাড়াতে হবে।
২. ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স
ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স হলো নিজের এবং অন্যদের আবেগকে উপলব্ধি ও মূল্যায়ন করার বুদ্ধিমত্তা। আপনি আপনার চারপাশের মানুষদের এবং কর্মক্ষেত্রে যে ব্যক্তিগত সম্পর্কগুলো গড়ে ওঠে সেগুলোর প্রতি কতটা সহানুভূতিশীল। তাই সহকর্মীর আবেগ বোঝা এবং সে অনুযায়ী প্রতিক্রিয়া জানাতে পারাটা জরুরি। ক্যারিয়ারে উন্নতি করতে ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স থাকা প্রয়োজন।
৩. ক্রিটিকাল থিংকিং
ক্রিটিকাল থিংকিং কর্মক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দক্ষতা। ক্রিটিকাল থিংকিং হচ্ছে কোনো তথ্য বা ঘটনার বাস্তবতা ও ধারণার মধ্যে যৌক্তিক সংযোগ বোঝার জন্য স্পষ্ট এবং যুক্তিযুক্তভাবে চিন্তাভাবনা করার ক্ষমতা। বর্তমান সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে ঘটনা ও বাস্তবতার মাঝে মিল খুঁজে পাওয়া জটিল হয়ে পড়েছে। তাই কোনো কিছু ঘটলেই সঙ্গে সঙ্গে সিদ্ধান্তে উপনীত না হয়ে নিজের মধ্যে প্রশ্ন জাগাতে হবে। কী হতে পারে বা কেন এমন হলো, এর নেপথ্যে কী উদ্দেশ্য এসব প্রশ্ন থাকতে হবে। চাকরির বাজারে এই দক্ষতাকে প্রায়োরিটি দেওয়া হয় কারণ ক্রিটিকাল থিংকিং এবিলিটি যত ভালো হবে সে তত যুক্তিসঙ্গত সিদ্ধান্ত গ্রহণ বা প্রয়োজনীয় ও অপ্রয়োজনীয় বিষয়গুলোর মধ্যে পার্থক্য করতে পারবে।
৪. নেতৃত্বগুণ
কাজের যোগ্যতা ও যোগাযোগ দক্ষতার পাশাপাশি বর্তমানে কর্মক্ষেত্রে ভালো করতে নেতৃত্বগুণ প্রয়োজন। কর্তৃপক্ষ এমন কর্মী চান, যারা তাদের নিয়মিত কাজের বাইরে যেতে আগ্রহী। আপনার মধ্যে যদি নেতৃত্বগুণ থাকে, তাহলে আপনি দলবদ্ধভাবে কাজ করার পাশাপাশি অন্যদের চেয়েও ভালো করতে পারবেন। তাই কর্মক্ষেত্রে নিজের নেতৃত্বগুণ প্রদর্শন করুন।
৫. সময় ব্যবস্থাপনা
নিজের কাজ সময়মত দক্ষতার সঙ্গে শেষ করাই সময় ব্যবস্থাপনা। কোনো দায়িত্ব পালনকালে সময়কে কতটা দক্ষতার সঙ্গে কাজে লাগাচ্ছেন তা গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময় অফিসের কাজ বাড়িতেও করতে হতে পারে। সেক্ষেত্রেও সময়কে গুরুত্ব দিতে হবে।
সূত্র: হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ, ফোর্বস