শরীরের তাপমাত্রা উষ্ণ রাখতে
এই শীতে ভেতর থেকে উষ্ণ থাকা বেশি জরুরি। কিছু খাবার আছে সেগুলো খেয়ে শরীরের তাপমাত্রা উষ্ণ রাখতে পারেন।
কলা: শীতকালে শরীর ভেতর থেকে উষ্ণ রাখার জন্য কলা খেতে পারেন। এই ফলে থাকা ম্যাগনেসিয়াম এবং বি ভিটামিন আপনার থাইরয়েড এবং অ্যাড্রিনাল গ্রন্থিকে দারুণভাবে সচল রাখে। আর এই গ্রন্থিগুলো শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। বিশেষ করে ঠান্ডা আবহাওয়ায় আপনার সকালের খাবারে কলা রাখতে পারেন। আর বিকেলে নাস্তা হিসেবে বাদাম ও মাখনের সাথে কলা খেতে পারেন। গবেষণায় দেখা গেছে, কলা এমন একটি খাবার যা শরীরের তাপ বাড়ায়।
জিরা: আপনি জেনে অবাক হতে পারেন যে মরিচ বা মরিচের মতো মশলাদার খাবার শরীরের তাপ বাড়ায় না। কিন্তু খাওয়ার সময় গরম অনুভব হতে পারে। এদিকে জিরা একটি মশলাদার ভেষজ যা নিয়মের ব্যতিক্রম। এটি মরিচ বা মরিচের মতো তীব্র মশলা নয় কিন্তু আপনার খাবারে জিরা যোগ করলে ধীরে ধীরে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।
আদা: জার্নাল অফ মেটাবলিজম-এ প্রকাশিত একটি গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে, আদা একটি স্বাস্থ্যকর মশলা যা আপনার শরীরের থার্মোজেনেসিস বাড়ায়। এটি হজমে সহায়তা করে এবং প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করে। রান্নায় আদা যোগ করতে পারেন। এছাড়া, আপনি মধুর সাথে আদা চা পান করতে পারেন।
নিয়মিত খাবারের তালিকা যেমন রাখতে পারেন: শরীরের তাপমাত্রা বাড়াতে চর্বিহীন গরুর মাংস, গমের রুটি বা পাস্তা, ওটস, মিষ্টি আলু, গোল আলু, ব্রকলি, মটরশুটি, মসুর ডাল এগুলো রাখতে পারেন।
কাঠবাদাম ও কাজুবাদাম: শীতে শরীর গরম রাখতে কাঠবাদাম, কাজুবাদাম চর্বির বিশেষ উৎস। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে ও শরীরকে উষ্ণ রাখতে সাহায্য করে এসব খাবার।
খেজুর: যারা আয়রনের ঘাটতিতে ভুগে থাকেন, শীতে তাদের হাত পা ঠান্ডা হয়ে যায়। আয়রন পেতে খেজুর খেতে পারেন। এটি আপনার হাত-পায়ের ঠান্ডাভাব কাটিয়ে দিতে পারে।
ডিম: ডিমে থাকা প্রোটিন ও ভিটামিন শরীরকে উষ্ণ করে তুলতে পারে। এই খাবারকে বলা হয় ‘শক্তির পাওয়ার হাউস’। এই শীতে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় যোগ করতে পারেন এই খাবার।
তথ্যসূত্র: সার্কেলডিএনএ