শেষ হল আনন্দ শোভাযাত্রা
-1141203.jpg?v=1.1)
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদে গিয়ে শেষ হয়েছে।
আজ সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৯টায় শুরু হয়ে সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে শেষ হয়। এই শোভাযাত্রায় অংশ নেন সর্বস্তরের হাজারো মানুষ।
শোভাযাত্রাটি চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে শুরু হয়ে শাহবাগ মোড় ঘুরে টিএসসি মোড়, শহীদ মিনার, বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র, দোয়েল চত্বর হয়ে বাংলা একাডেমির সামনের রাস্তা দিয়ে পুনরায় চারুকলা অনুষদে গিয়ে শেষ হয়। দেশের মানুষের পাশাপাশি শোভাযাত্রায় বিদেশিরাও অংশ নেন।
বর্ণিল আয়োজনে এবারে সেজেছে বাঙালির প্রাণের উৎসব। ফ্যাসিস্টের মুখাকৃতি ছাড়াও নানান শিল্পকর্মের মাধ্যমে শুরু হয়েছে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা। এবারের আনন্দ শোভাযাত্রার প্রতিপাদ্য ছিলো ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’। শোভাযাত্রায় এ বছর ২৮টি জাতিগোষ্ঠী, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ বিভিন্ন দেশের অতিথিরা অংশ নেন।
এছাড়া এবারের বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রায় রয়েছে ৭টি বড় মোটিফ, ৭টি মাঝারি মোটিফ এবং ৭টি ছোট মোটিফ। বাংলাদেশ পুলিশের ১৮টি ইন্ডিয়ান হরিয়ানা ঘোড়া আনা হয়।
শোভাযাত্রায় মুখোশ, পাপেট, বাঁশের তৈরি বাঘ, পাখি, মাছসহ নানা বিশালাকৃতির শিল্পকর্মের মাধ্যমে তুলে ধরা হয় গ্রামীণ জীবন ও প্রকৃতিনির্ভর মানুষের সংগ্রামের রূপ। এ উৎসবের আমেজের মধ্যে একটি বিশেষ মুখাবয়ব সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। সেটি হচ্ছে ফ্যাসিস্টের মুখাবয়ব। একই সঙ্গে জুলাই আন্দোলনে নিহত মুগ্ধের স্মরণে ‘পানি লাগবে পানি’ মোটিফও সবার দৃষ্টি কেড়েছে।
এদিকে, নববর্ষের উৎসব ঘিরে সারাদেশে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন, র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) এ কে এম শহিদুর রহমান। সেই সঙ্গে বৈশাখী উৎসব ঘিরে অপপ্রচার রোধে সাইবার নিরাপত্তাব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।