উদ্বোধনী ফলকে নিজের নাম দেখে ক্ষেপলেন উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক
জার্নাল ডেস্ক জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৪ আগস্ট ২০২৫, ০৭:৫২ PM

উদ্বোধনী ফলকে নিজের নাম দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “এটা কি আমার বাবার টাকায় নির্মিত? তাহলে ফলকে আমার নাম থাকবে কেন?”

রোববার (২৪ আগস্ট) সকালে গাজীপুরে ঢাকা-বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ের ১৮ কিলোমিটার সড়ক উদ্বোধন করতে গিয়ে তিনি লাল কাপড়ে ঢাকা শ্বেতপাথরে কালো কালি দিয়ে উদ্বোধক হিসেবে নিজের নাম লেখা দেখতে পান। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি সঙ্গে সঙ্গে কর্তৃপক্ষকে ফলক পরিবর্তনের নির্দেশ দেন।

এর আগে, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, আশপাশের দেশের তুলনায় আমাদের রাস্তা নির্মাণের ব্যয় অনেক বেশি, এগুলো কমাতে হবে। আপনারা জানেন যে রাস্তাঘাট দুর্নীতির একটা বড় ক্ষেত্র। এই দুর্নীতি কমালে এবং আমাদের প্রকৌশলীরা যদি দেখেন তাহলে এইটাকে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ রাস্তা নির্মাণের ব্যয় কমানো সম্ভব। সড়কের ওপর আমাদের নির্ভরতা কমাতে হবে। অন্যান্য যেসব যাতায়াতের মাধ্যম রেল পথ, নদী পথ এবং বিমান এসবের ব্যবহার বাড়াতে হবে।

গাজীপুর মহানগরীর ভোগড়া এলাকায় ১৮ কিলোমিটার ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. এহছানুল হক, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফীন, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ড. নাজমুল করিম খানসহ প্রকল্পের দেশি-বিদেশি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, ঢাকা শহরে এ ধরনের বাইপাস আমাদের করতে হবে। যাতে বড় শহরকে যানজট থেকে মুক্ত করতে পারি। সড়ক নির্মাণের ব্যয় কমাতে হবে এবং টেকনোলজি সেটা কমাতে হবে, পরিবর্তন করতে হবে। যাতে বছর বছর রাস্তা খারাপ না হয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, আমাদের অন্যান্য যে যাতায়াতের মাধ্যম আছে যেমন- নদীপথে যাতায়াত করা, রেলওয়ে যাতায়াত করা ও বিমানে যাতায়াত করা এগুলোকে আমরা অবহেলা করেছি। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় থেকে আমরা এখন উদ্যোগ নিয়েছি। মাল্টি লেভেল প্লেন আমরা করতেছি। এই প্লেনের মধ্যে আমরা সবকিছু একত্রে দেখব। সড়ক পথ রেল পথ ও নদী পথকে দেখব। সবগুলো আমরা একত্রে করব। যেখানে যেটা উপযুক্ত সেখানে সেটার ওপর জোর দেব। যেখানে নদীপথে মুভমেন্ট সহজ হবে সেখানে নদীপথের ওপর জোর দেওয়া হবে। যেখানে রেলের জন্য সহজতর হবে সেখানে রেলের জন্য জোর দেওয়া হবে। শুধুমাত্র সড়কের ওপর নির্ভরতা এটা আমাদের কমাতে হবে। প্রত্যেক দিনই জমি অধিগ্রহণ এটা একটা দীর্ঘ প্রক্রিয়া এবং অত্যন্ত ব্যয়বহুল প্রক্রিয়া। এ জন্য এখান থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।

এদিকে এই খবর ছড়িয়ে পড়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উপদেষ্টা ফাওজুল কবিরকে প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন নেটিজেনরা। অনেকেই এমন বাংলাদেশই চেয়েছিলাম বলে মন্তব্য করছেন।