পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

ইসহাক দারের সঙ্গে একমত নয় ঢাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক
জার্নাল ডেস্ক জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৪ আগস্ট ২০২৫, ০৭:২৭ PM

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, আগের সরকারের সময়ে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ইচ্ছাকৃতভাবে পিছিয়ে রাখা হয়েছিল। আমরা তাদের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক চাই, যেমনটা অন্যান্য দেশের সঙ্গেও চাই। এর বাইরে আর কিছু নয়।

রোববার (২৪ আগস্ট) পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ইসহাক দারের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

এর আগে আরও দুইবার ৭১ এর ইস্যুর সমাধান করা হয়েছে ইসহাক দারের এমন মন্তব্যের সঙ্গে বাংলাদেশ একমত নয় এমনটা উল্লেখ করে তিনি বলেন, একমত হলে তো সব সমস্যার সমাধান হয়ে যেতো। আমরা আমাদের অবস্থান বলেছি আর তারা তাদের অবস্থান বলেছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান পরিষ্কার। আমরা চাই হিসাবপত্র হোক টাকাপয়সার যে ব্যাপার আছে সেটির সমাধান হোক। গণহত্যার বিষয়ে তারা দুঃখ প্রকাশ করুক এবং মাফ চাক।

তিনি বলেন, বৈঠকে স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কথা বলেছি। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান যে অমীমাংসিত ঐতিহাসিক বিষয়গুলো আছে সেগুলো নিয়েও আলোচনা হয়েছে। দুই দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি নিয়ে কথা হয়েছে। আমাদের বাণিজ্য ভারসাম্য আমাদের বিপক্ষে সেটি আমরা উলেখ করেছি। দুই পক্ষই বাণিজ্য বৃদ্ধিতে আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন কারণ আমাদের মোট বাণিজ্যের পরিমাণ এক বিলিয়ন ডলারেরও কম।

উপদেষ্টা বলেন, আমরা তাদের বাজারে কিছু প্রবেশাধিকার চেয়েছি। সাফটার অধীনে যেন সুযোগ সুবিধা দেয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছে টেক্সটাইল, জ্বালানি, ঔষধ শিল্প, কৃষিপণ্য ও তথ্য প্রযুক্তি এই কয়েকটি খাতে বেশি সম্ভাবনাময় বলে মনে করেছি। এছাড়া কৃষি, মৎস ও প্রাণীসম্পদ সেক্টরেও সহযোগীতার সম্ভাবনা আছে। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে জ্বালানি রফতানির বিষয়ে কথাবার্তা হয়েছে। পরিবহন ও যোগাযোগের ক্ষেত্রেও কথা হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরের সাথে কীভাবে জাহাজ চলাচল কীভাবে আরও নিয়মিত করা যায় সে বিষয়ে কথা হয়েছে। এ ছাড়াও শিক্ষা সংস্কৃতি, ক্রীড়া ক্ষেত্রে দুই দেশের সম্পর্ক কীভাবে আরও ভালো হয় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

গাজায় চলমান যুদ্ধ এবং মিয়ানমারে যে রোহিঙ্গা সংকট রয়েছে সে বিষয়ে কথা হয়েছে। তারাও চায় যে রোহিঙ্গারা দেশে ফিরে যাক। বৈঠকে একটি চুক্তি এবং ৫টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।