হিজবুল্লাহর সঙ্গে সর্বাত্মক যুদ্ধ বাধলে ইসরায়েলকে সমর্থন দেবে যুক্তরাষ্ট্র

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক জার্নাল আন্তর্জাতিক জার্নাল
প্রকাশিত: ২৪ জুন ২০২৪, ১০:১৬ AM

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের অধিকৃত গাজায় নৃশংস, নির্মম, বর্বর ও মানবতাবিরোধী ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। আর তাদের এই গণহত্যাযজ্ঞে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এদিকে লেবাননের সঙ্গেও সর্বাত্মক যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। আর লেবাননের প্রতিরোধ গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সঙ্গে সর্বাত্মক যুদ্ধ বেধে গেলে ইসরায়েলকে সমর্থন দেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। 

চলতি সপ্তাহে ওয়াশিংটন সফরকারী ইসরায়েলি প্রতিনিধি দলকে এই আশ্বাস দিয়েছেন জ্যেষ্ঠ মার্কিন কর্মকর্তারা। একজন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

সীমান্তে হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরায়েলি বাহিনীর উত্তেজনার বৃদ্ধির মধ্যেই আমেরিকার পক্ষ থেকে এই আশ্বাস পেল ইসরায়েল।

এদিকে অস্ত্র সরবরাহ স্থগিতের জন্য সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রকে প্রকাশ্যে দোষারোপ করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এ নিয়েও দুই দেশের কর্মকর্তাদের মধ্যে মন কষাকষি চলছিল।

ওয়াশিংটনে সফর করা ইসরায়েলি প্রতিনিধি দলে ছিলেন—দেশটির কৌশলগত বিষয়াদি সংক্রান্ত মন্ত্রী রন ড্রেমার ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জাকি হানেগবি। তারা বেশ কয়েক ধাপে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন ও হোয়াইট হাউসের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক সমন্বয়কারী ব্রেট ম্যাকগার্কের সঙ্গে বৈঠক করেন।

জানা গেছে, দুই দেশের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা ইসরায়েলের উত্তরে সীমান্ত পরিস্থিতি, ইরান, গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। 

হিজবুল্লাহর সঙ্গে সংঘাতের বিষয়ে মার্কিন কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন— ইসরায়েলের প্রয়োজন হলে দেশটিকে নিরাপত্তা সহায়তা দেওয়া হবে। তবে এ সংঘাত ঘিরে নিজেদের কোনও সেনা মোতায়েন করবে না ওয়াশিংটন।

এদিকে, সম্প্রতি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন- ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে যদি সর্বাত্মক যুদ্ধ বেধে যায়, তাহলে ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে আয়রন ডোমসহ ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাগুলো। কারণ, দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় যত ক্ষেপণাস্ত্র আছে, হিজবুল্লাহর হাতে তার চেয়ে বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এ কারণে হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধ নিয়ে চরম উদ্বেগে আছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। 

সূত্র: সিএনএন