নেতানিয়াহুর বক্তব্যের পর গাজায় যুদ্ধবিরতি না হওয়ার আশঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক জার্নাল আন্তর্জাতিক জার্নাল
প্রকাশিত: ০১ মে ২০২৪, ১১:৪১ AM

বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা হলো ফিলিস্তিনের ছোট্ট সীমান্তশহর রাফাহ। গাজা উত্তর ও দক্ষিণে হামলার পর সেখান থেকে পালিয়ে রাফায় আশ্রয় নিয়েছে লাখ লাখ ফিলিস্তিনি। খবর অনুযায়ী সেখানে বর্তমানে ১০ লাখের অধিক মানুষ অবস্থান করছেন। আর হামাসকে ধ্বংস করার নামে জনবহুল এই এলাকাটিতে হামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তির চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব হোক বা না হোক, গাজার দক্ষিণাঞ্চলের রাফা শহরে হামাসের বিরুদ্ধে অভিযান চালাবে ইসরায়েল।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, হামাসের সঙ্গে চুক্তি হলেও এবং না হলেও গাজার রাফাতে হামলা চালাবেন তারা।

নেতানিয়াহুর এই মন্তব্যের পর ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যে যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি চুক্তি হওয়ার একটি সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল তা ভেস্তে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে,  মঙ্গলবার হামাসের হামলায় নিহত ইসরায়েলি পরিবারের সদস্য এবং উগ্রপন্থি জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী বেন গভিরের সঙ্গে বৈঠক করেন নেতানিয়াহু। এরপর তিনি বলেন, সব লক্ষ্য অর্জিত হওয়ার আগে যুদ্ধ বন্ধ করে দেব এটি আমাদের বিবেচনায় নেই। সম্পূর্ণ জয় পেতে আমরা রাফাতে প্রবেশ করব এবং সেখানে থাকা হামাসের ব্যাটালিয়নকে নির্মূল করব-চুক্তি হোক আর না হোক।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, স্বজন হারানো ইসরায়েলিরা প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং নিরাপত্তা পরামর্শক তাচি হানেগবেকি যুদ্ধ বন্ধ না করার আহ্বান জানিয়েছেন।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়া গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনবিরোধী বিক্ষোভ ঘিরে উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে। বিক্ষোভ বন্ধে কর্তৃপক্ষের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা উপেক্ষা করে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ভবন নিয়ন্ত্রণে নেয় আন্দোলনকারীরা। জানা গেছে হ্যামিল্টন হল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এক পর্যায়ে ভবনের দরজা বন্ধ করে ভেতরে অবস্থান নেয় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। বাইরে ব্যানারও ঝুলিয়ে দেন তারা।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে বিক্ষোভস্থল ছেড়ে না যাওয়ায় শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করতে শুরু করেছে তারা।

অন্যদিকে এক মাস পর আবারও অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নিজেদের কার্যক্রম শুরু করেছে ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেন। ইসরায়েলের বিমান হামলায় ডব্লিউসিকের সাত সদস্য প্রাণ হারানোর পর মঙ্গলবার নিরীহ গাজাবাসীর জন্য খাবার সরবরাহ করে সংস্থাটি।