নেতানিয়াহুর পদত্যাগের দাবিতে উত্তাল ইসরায়েল
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকষ্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এ হামলায় ২৪০ জনের মতো লোককে জিম্মি করে নিয়ে যায়। এদিন থেকেই গাজায় নৃশংস হামলা শুরু করেছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সরকার। এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর পদত্যাগের দাবিতে দেশটিতে ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে তেলআবিব, জেরুজালেম, সিজারিয়া, রানানা এবং হার্জলিয়াতে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছেন।
বিক্ষোভে নেতানিয়াহুর পদত্যাগের পাশাপাশি আগাম নির্বাচনের দাবি জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে ফিলিস্তিনের গাজায় হামাসের হাতে বন্দী ১৩৪ ইসরায়েলি নাগরিককে মুক্ত করার দাবিও জানানো হয়। নেতানিয়াহুকে ক্ষমতাচ্যুত না করা পর্যন্ত বিক্ষোভ অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। তবে নেতানিয়াহু জানিয়েছেন তিনি পদত্যাগ করবেন না।
বিক্ষোভে অংশ নিয়ে জিম্মি লিরি আলবাগের মা শিরা আলবাগ বলেন, আমার ছেলে এবং অন্য জিম্মিরা কী অবস্থায় আছে, সেই চিন্তায় ১৭৬ দিন ধরে অন্য কিছু ভাবতে পারি না। জিম্মি বিনিময় চুক্তিতে যে-ই বাধা হয়ে দাঁড়াবে, তাকে ইসরাইলের জনগণ ক্ষমা করবেন না।
বিক্ষোভে অংশ নেন প্রায় ৫৪ দিন আগে মুক্তি পাওয়া জিম্মি রাজ বেন-আমি। তিনি বলেন, হামাসের হাতে জিম্মি সবাই বাড়ি ফিরে না আসা পর্যন্ত আমরা থামব না।
এদিকে বিক্ষোভ দমনে কঠোর অবস্থানে রয়েছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পুলিশ কর্মকর্তারা শহরের কিরিয়া সামরিক সদর দপ্তরের প্রবেশদ্বার বিগিন গেটে বিক্ষোভকারীদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। বিক্ষোভ দমনে জলকামানও ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া বিক্ষোভকারীদের মধ্য থেকে ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৩২ হাজার ৭৮২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৭৪ হাজারের অধিক। নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু।
সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান ও আল জাজিরার।