১৯৮৮ সালের পর সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করছে ন্যাটো
বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামরিক জোট ন্যাটো। এবার সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করতে চলেছে পশ্চিমা সামরিক এই জোট । এ মহড়ায় ৯০ হাজার সেনা অংশ নিচ্ছে। স্নায়ুযুদ্ধের পর এটিই সবচেয়ে বড় মহড়া হিসেবে ধরা হচ্ছে। আগামী সপ্তাহ থেকে এই বড় মহড়া শুরু হবে বলে জানা গেছে।
রাশিয়ার হামলা হলে সেক্ষেত্রে জাতীয় ও বহুজাতিক স্থলবাহিনী মোতায়েন এবং সজাগ থাকা নিয়েই মূলত এ মহড়া চালানো হচ্ছে।
সংবাদ সংস্থা এপি'র এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। এছাড়া আল জাজিরা, ডয়চেভেলে, পিবিএস, ডন, ডেইলি সাবাহ, এনডিটিভির প্রতিবেদনেও একই তথ্য উঠে এসেছে।
ইউরোপে, বিশেষত বাল্টিক রাষ্ট্রগুলোতে এবছর মে মাসজুড়ে চলবে স্টিডফাস্ট ডিফেন্ডার শীর্ষক এ মহড়া। ন্যাটো শীর্ষ কমান্ডার ক্রিস ক্যাভোলি বৃহস্পতিবার একথা জানিয়েছেন। বাল্টিক রাষ্ট্রগুলোতেই রাশিয়ার হামলার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি বলে মনে করা হয়।
ন্যাটো জানায়, ৫০ টির বেশি বিমানবাহী রণতরী থেকে ডেস্ট্রেয়ার মহড়ায় অংশ নেবে।
আরও অংশ নেবে ৮০ টির বেশি জঙ্গি বিমান, হেলিকপ্টার ও ড্রোন এবং অন্তত ১১০০ যুদ্ধযান, যার মধ্যে থাকবে ১৩৩ টি ট্যাংক এবং পদাতিক বাহিনীর লড়াইয়ের ৫৩৩ টি যুদ্ধযান।
ন্যাটো কমান্ডার ক্যাভোলি বলেন, নেটোর আঞ্চলিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মহড়া চলবে। রাশিয়ার হামলা হলে কীভাবে এর জবাব দেওয়া হবে তা নিয়ে ন্যাটো কয়েকদশক ধরে প্রথম যে প্রতিরক্ষা পরিকল্পনা তৈরি করেছে সেটিরই মহড়া চালিয়ে দেখা হবে।
ন্যাটো তাদের মহড়ার ঘোষণায় রাশিয়ার নাম উল্লেখ করেনি। তাবে তাদের শীর্ষ কৌশলগত নথিতে রাশিয়াকে ন্যাটো সদস্যদেশগুলোর নিরাপত্তায় সবচেয়ে গুরুতর এবং সরাসরি হুমকি হিসাবেই চিহ্নিত করা হয়েছে।
ন্যাটো বলেছে, ‘স্টিডফাস্ট ডিফেন্ডার ২০২৪’ ইউরোপের প্রতিরক্ষাকে জোরদার করতে উত্তর আমেরিকা এবং জোটের অন্যান্য অংশ থেকে দ্রুত সেনাবাহিনী মোতায়েনে নেটোর সক্ষমতা প্রদর্শনেরই মহড়া।
ন্যাটো হিসাবমতে, একই ধরনের এমন মহড়া ‘রিফরজার’ সর্বশেষ চালানো হয়েছিল ১৯৮৮ সালে স্নায়ুযুদ্ধের সময়। তাতে অংশ নিয়েছিল ১২৫,০০০ সেনা এবং ২০১৮ সালে ট্রাইডেন্ট জাঙ্কচার মহড়ায় অংশ নিয়েছিল ৫০ হাজার সেনা।
এবারের মহড়ায় ন্যাটো সদস্যদেশগুলোর সেনাদের পাশাপাশি সুইডেন থেকেও সেনারা অংশ নেবে। সুইডেন খুব শিগগিরই নেটো জোটে যোগ দেওয়ার আশা করছে।
স্টিডফাস্ট ডিফেন্ডার মহড়ার দ্বিতীয় পর্বে ন্যাটো পূর্বপ্রান্তে পোল্যান্ডে নেটোর কুইক রিঅ্যাকশন ফোর্স মোতায়েনের দিকে বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া হবে।