জকসু নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ভোটগ্রহণের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২৭ নভেম্বর।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. শেখ গিয়াস উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ৮ অক্টোবর থেকে নির্বাচন কমিশন গঠন ও কার্যক্রম শুরু হবে। এরপর ধাপে ধাপে তফসিল ঘোষণা, ভোটার তালিকা প্রস্তুত, মনোনয়ন জমা ও যাচাই–বাছাইসহ অন্যান্য কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।
জকসু নির্বাচন ছাড়াও শিক্ষার্থীদের তিনটি মূল দাবির মধ্যে ছিল—শিক্ষার্থীদের সম্পূরক বৃত্তি কবে থেকে কার্যকর হবে, তা নির্দিষ্ট করা; ক্যাফেটেরিয়ার স্বাস্থ্যকর খাবার নিশ্চিত করা; এবং কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে সুযোগ-সুবিধা ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করা।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা প্রথমে প্রশাসনের বিবৃতিতে সন্তুষ্ট হতে পারেননি। তাদের মতে, প্রশাসনের ঘোষণায় শুভঙ্করের ফাঁকি রয়েছে। কোন শিক্ষার্থী এই সুবিধা পাবে, কত টাকা দেওয়া হবে, এবং ক্যাফেটেরিয়া সম্পর্কে কোনো সুস্পষ্ট ঘোষণা ছিল না। তবে পরবর্তীতে প্রশাসন থেকে সুনির্দিষ্টভাবে ঘোষণা দিলে অনশনরত শিক্ষার্থীরা তাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, শিক্ষার্থীরা যে সব দাবি জানিয়েছিল আমরা তা নির্দিষ্ট করে লিখিতভাবে মেনে নিয়েছি। আগামী ২৭ নভেম্বর নির্বাচন হবে। সকল বিষয়ই পরিষ্কার। আমি নিজে তাদের কাছে গেছি। অনশন ভাঙার জন্য অনুরোধ করেছি কিন্তু তারা ভাঙেনি। আমি আর কি করতে পারি?
এর আগে, গত মঙ্গলবার জকসু নির্বাচনের রোডম্যাপসহ তিন দাবিতে শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদ ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) পাঁচ নেতা অনশন শুরু করেন। একই দিনে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফয়েজের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জবি শাখা ছাত্রশিবিরের নেতারা।
ইউজিসি চেয়ারম্যান জানান, তিনি শিক্ষার্থীদের সম্পূরক বৃত্তির অর্থ নভেম্বরে প্রদান এবং জকসু নীতিমালা দ্রুত বিধি আকারে প্রণয়ন করার চেষ্টা করবেন।