কুঁড়ার তেল রপ্তানিতে ২০ শতাংশ শুল্ক বসাল এনবিআর

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:১০ PM

বাংলাদেশ থেকে রাইস ব্র্যান অয়েল বা কুঁড়ার তেল রপ্তানির ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক বা রেগুলেটরি ডিউটি (আরডি) আরোপ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ফলে কেউ যদি কুঁড়ার তেল রপ্তানি করতে চায়, তাহলে ২০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক দিতে হবে। 

আজ বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) এনবিআর কুঁড়ার তেল রপ্তানিতে শুল্ক আরোপ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। এতে সই করেন এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান। 

অবশ্য আগেও ২৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক (আরডি) আরোপ করা হয়েছিল। কিন্তু জুলাই মাসে সেই শুল্ক আরোপের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। 

কয়েক মাস ধরেই বাংলাদেশ রাইস ব্র্যান অয়েল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা রপ্তানিতে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক আরোপের দাবি জানিয়ে আসছেন। 

এনবিআরের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, কাস্টমস আইন ২০২৩-এর ক্ষমতাবলে কুঁড়ার তেল রপ্তানির ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ হারে রেগুলেটরি শুল্ক আরোপ করা হলো। পরিশোধিত ও অপরিশোধিত—উভয় ধরনের কুঁড়ার তেল রপ্তানিতে এ শুল্ক আরোপ করা হবে। 

এক দশক ধরে দেশে কুঁড়ার তেলের উৎপাদন বেড়েছে, গ্রাহক পর্যায়ে বিক্রিও বেড়েছে। পাবনার ঈশ্বরদীতে ২০১১ সালে রশিদ অয়েল মিলস লিমিটেড হোয়াইট গোল্ড ব্র্যান্ড নামে প্রথম ধানের কুঁড়ার তেল উৎপাদন শুরু করে। এরপর বেশ কয়েকটি বড় প্রতিষ্ঠান এই ব্যবসায় যুক্ত হয়। 

দেশে ভোজ্যতেলের বার্ষিক চাহিদা ২২ থেকে ২৩ লাখ টন। এই চাহিদার বিপরীতে অপরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেল আমদানি করে স্থানীয়ভাবে পরিশোধনের মাধ্যমে চাহিদার প্রায় ৯০ শতাংশ পূরণ করা হয়। বাংলাদেশ রাইস ব্র্যান অয়েল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুসারে, দেশে মোট ২১টি রাইস ব্র্যান অয়েল মিল রয়েছে। এসব মিলের বার্ষিক উৎপাদনক্ষমতা ৪ লাখ ৫৩ হাজার টন।