যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলায় ৩ পুলিশ নিহত
-1180945.jpg?v=1.1)
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায়ই বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটে। এবার পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যে বন্দুকধারীর গুলিতে তিন পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন এবং গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দুজন। পাল্টা গুলিবর্ষণে হামলাকারীও নিহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিহত ও আহত কর্মকর্তারা আগের দিন শুরু হওয়া এক পারিবারিক বিরোধসংক্রান্ত তদন্তের সূত্র ধরে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন।
হামলার ঘটনার পর বুধবার স্থানীয় এক হাসপাতালে দুই আহত কর্মকর্তা চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলেও স্থিতিশীল। সেখানে পেনসিলভানিয়া স্টেট পুলিশের কমিশনার ক্রিস্টোফার প্যারিস সাংবাদিকদের জানান, “হামলাকারী মারা গেছে”। তবে কীভাবে ঘটনাটি ঘটেছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেননি তিনি।
তিনি বলেন, “পেনসিলভানিয়া স্টেট পুলিশের সব ধরনের সরঞ্জাম এ ঘটনায় কাজে লাগানো হচ্ছে”। এখনও ঘটনাস্থলকে “অত্যন্ত সক্রিয় এলাকা” হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
প্যারিস জানান, ইয়র্ক কাউন্টি জেলা অ্যাটর্নি অফিসের সঙ্গে যৌথভাবে একটি “বড় টিম” গঠন করা হবে। এ নিয়ে তিনি ইতোমধ্যেই এফবিআইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।
কমিশনারের সঙ্গে ছিলেন পেনসিলভানিয়ার গভর্নর জোশ শাপিরো। তিনি ঘটনাস্থল নর্থ কডোরাস টাউনশিপে পৌঁছে নিহত ও আহত কর্মকর্তাদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ফিলাডেলফিয়ার প্রায় ১৮৫ কিলোমিটার পশ্চিমে এ টাউনশিপটি অবস্থিত।
গভর্নর শাপিরো বলেন, “এটা ইয়র্ক কাউন্টি ও পুরো পেনসিলভানিয়ার জন্য একেবারেই শোকাবহ ও বিধ্বংসী দিন।”
এই ঘটনায় একসঙ্গে পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তা গুলিবিদ্ধ হলেন। চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় এক হাসপাতালে জিম্মি পরিস্থিতির সময় গুলিবিনিময়ে পুলিশের গুলিতে এক কর্মকর্তা নিহত হয়েছিলেন। ওই ঘটনায়ও বন্দুকধারী মারা যায়।
এদিকে গুলিবর্ষণের খবর ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের সড়কগুলো বন্ধ থাকায় সতর্কতামূলকভাবে শিক্ষার্থী ও কর্মীদের ভবনের ভেতর অবস্থান করতে নির্দেশ দেয় স্থানীয় একটি স্কুল ডিস্ট্রিক্ট। পরে বিকেলে সেই আদেশ তুলে নেওয়া হয়।
মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল পামেলা বন্ডি এ ধরনের পুলিশবিরোধী সহিংসতাকে “সমাজের অভিশাপ” হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।