আমিরাতে হজের আবেদন ৭২ হাজার, সুযোগ মাত্র ৬ হাজার ২২৮ জনের
নির্বাচন হবে স্মার্ট অ্যাপের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই শেষে, প্রস্তুত স্বাস্থ্য সচেতনতা অভিযানও
-1221227.png?v=1.1)
আসন্ন ২০২৬ সালের হজ মৌসুমে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) থেকে হজে যাওয়ার আবেদন পড়েছে রেকর্ডসংখ্যক—৭২ হাজার। কিন্তু সৌদি আরবের বরাদ্দ অনুযায়ী ইউএই থেকে হজে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন মাত্র ৬ হাজার ২২৮ জন।
ইউএইর সাধারণ ইসলামিক বিষয়ক, ওয়াকফ ও জাকাত কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চলতি বছরের ৯ অক্টোবর পর্যন্ত স্মার্ট অ্যাপ ও সরকারি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন গ্রহণ করা হয়। এসব আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে। সব শর্ত পূরণের পর নির্বাচিত আবেদনকারীদের প্রাথমিক অনুমোদন দেওয়া হবে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আবেদন বাছাই প্রক্রিয়ায় মানা হবে ২০১৮ সালের মন্ত্রিপরিষদ প্রজ্ঞাপন নম্বর ৩২, যা হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনার নীতিমালা নির্ধারণ করেছে। নির্বাচিতদের নিবন্ধিত ফোন নম্বরে বার্তা পাঠানো হবে, যাতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেন।
ইসলামিক বিষয়ক কর্তৃপক্ষ বলছে, হজযাত্রীদের সর্বোত্তম সেবা নিশ্চিত করতে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সংস্থাটির এক বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা হাজিদের সেবা ও যত্নে সর্বোচ্চ দায়িত্বশীলতা এবং আন্তরিকতা প্রদর্শন করব। পবিত্র স্থানগুলোয় হাজিদের সব চাহিদা পূরণে প্রস্তুত রয়েছে আমাদের টিম।
ইউএই সরকার জানিয়েছে, হজ পরিচালনায় গুণগত মান ও আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বাস্তবায়নে তারা কাজ করছে। হজযাত্রার শুরু থেকে নিরাপদ প্রত্যাবর্তন পর্যন্ত হাজিদের সহায়তায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও থাকবে বলে জানানো হয়েছে। বিশেষ করে বয়স্ক হাজিদের জন্য বিশেষ নজরদারি থাকবে।
এদিকে পাসপোর্ট হারানো বা ক্ষতিগ্রস্ত হলে মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যেই ‘রিটার্ন ডকুমেন্ট’ বা ফেরত নথি ইস্যু করার ব্যবস্থা থাকবে। এজন্য হাজিদের পরিচয়পত্রের কপি সঙ্গে রাখার পরামর্শ দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
হজ মৌসুম সামনে রেখে ইউএইর স্বাস্থ্য ও প্রতিরোধ মন্ত্রণালয় শুরু করেছে ‘একটি নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর হজ’ শিরোনামের জাতীয় সচেতনতামূলক অভিযান। এতে অংশ নিচ্ছে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সংস্থা। অভিযানের লক্ষ্য হলো হাজিদের স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং যাত্রার আগে, চলাকালে ও পরে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করা।
এই অভিযানে হাজিদের জন্য বহুভাষিক স্বাস্থ্য নির্দেশিকা, অনলাইন জিজ্ঞাসা সেবা, ওষুধ ও পরামর্শ প্রদান, এমনকি মানসিক সহায়তার ব্যবস্থাও রয়েছে। এতে বলা হয়েছে, যাত্রার আগে মেনিনজাইটিস, মৌসুমি ইনফ্লুয়েঞ্জা ও নিউমোনিয়া টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় হাজিদের গরমে ক্লান্তি, খাদ্যজনিত অসুস্থতা বা আঘাত এড়াতে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
অন্যদিকে ইসলামিক বিষয়ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইউএই হাজিদের শান্তিপূর্ণভাবে হজ পালনের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এতে হজ প্রশিক্ষণ, শিক্ষামূলক উদ্যোগ এবং বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়ে সার্বিক সেবা উন্নত করার পরিকল্পনাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।