রিশাদ ঝড়ে কোনমতে দুইশ ছাড়াল বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
স্পোর্টস জার্নাল স্পোর্টস জার্নাল
প্রকাশিত: ২১ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:৫৬ PM

প্রথম ওয়ানডেতে টস হেরে ব্যাট করে অল্প রান তুলেও জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। তাই দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতেই ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ। তবে স্পিন সহায়ক উইকেটে রান তোলা ছিল বেশ কঠিন। সৌম্য সরকার ও মিরাজরা উইকেটে সেট হলেও রানের গতি বাড়াতে পারেননি। ফলে একসময় মনে হচ্ছিল, দুইশ রানও হয়তো দূরের লক্ষ্য।

কিন্তু শেষ দিকে রিশাদ হোসেন ঝড় তোলেন ব্যাট হাতে। ৯ নম্বরে নেমে মাত্র ১৪ বলে খেলেন ৩৯ রানের দারুণ ইনিংস, তাতেই দুইশ পার করে বাংলাদেশ।

মিরপুরে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২১৩ রান তোলে বাংলাদেশ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৫ রান করেন সৌম্য সরকার।

সাবধানী শুরু করেছিলেন সৌম্য সরকার ও সাইফ হাসান। দুজনের দেখে-শুনেই খেলছিলেন। তবে হঠাৎ ডিফেন্স করতে গিয়ে আউটসাইড এজে স্লিপে ক্যাচ দেন সাইফ। গত ম্যাচের মতো আজও দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি তিনি। এক ছক্কায় ১৬ বলে করেছেন ৬ রান।

ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন দিয়ে তাওহিদ হৃদয়কে নামানো হয় তিনে। গুরুত্বপূর্ণ এই পজিশনে খেলতে নেমে ব্যর্থ তিনি। সৌম্যের সঙ্গে হৃদয়ের জুটি দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তবে বাজে শট খেলে নিজের উইকেট বিলিয়ে এসেছে হৃদয়। ফেরার আগে ১৯ বলে করেছেন ১২ রান।

হৃদয়ের পর উইকেটে এসে ব্যর্থ হয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্তও। উইকেটে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। বড় শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন। ২১ বলে ১৫ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। অঙ্কনও একই পথে হেটেছেন। ৩৫ বলে ১৭ করে আউট হয়েছেন।

এক প্রান্তে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও আরেক প্রান্ত আগলে রেখে ব্যাটিং করছিলেন সৌম্য সরকার। দারুণ ব্যাটিংয়ে ছিলেন ব্যাক্তিগত ফিফটির পথে। তবে হঠাৎ ধৈর্য্য হারান। ছক্কা মারতে গিয়ে সীমানার কাছে ধরা পড়েন। তার আগে ৮৯ বলে করেছেন ৪৫ রান।

১০৩ রানে পঞ্চম উইকেট হারানোর পর সাতে ব্যাট করতে আসেন নাসুম। এই পরিকল্পনায় কিছুটা হলেও সফল বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট। এক ছক্কায় ১৪ রান এসেছে নাসুমের ব্যাট থেকে। এরপর সোহান এসে দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করেন। কিন্তু ২৪ বলে ২৩ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি।

৪৬তম ওভারে যখন সোহান ফেরেন তখন দলের রান ১৬৩। এখান থেকে দুইশ রান অনেক দূরের পথই মনে হচ্ছিল। তবে সেই পথটুকু সহজেই পাড়ি দেন রিশাদ। ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ১৪ বলে করেন অপরাজিত ৩৯ রান। তাতে যোগ্য সঙ্গ দেন মিরাজ। অধিনায়ক অপরাজিত থাকেন ৫৮ বলে ৩২ রান করে।