পাকিস্তানের কাছে হোয়াইটওয়াশ হল বাংলাদেশ

তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচেও বড় ব্যবধানে হেরে পাকিস্তানের কাছে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ। ১৯৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়েই সহজ জয় তুলে নেয় স্বাগতিক পাকিস্তান দল। দলের এই জয়ে বড় ভূমিকা রাখেন মোহাম্মদ হারিস, যিনি দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ১ রানে আউট হন শোয়াবজাদা ফারহান। তবে এরপর মোহাম্মদ হারিস ও সাইম আয়ুবের জুটি ধীরে ধীরে গড়তে থাকে রানের পাহাড়। সাইম ৪৫ রানে আউট হলেও, হারিস একপ্রান্ত আগলে রেখে দ্রুতগতির অর্ধশতক তুলে নেন এবং শেষ পর্যন্ত তার সেঞ্চুরিতে ভর করেই জয় নিশ্চিত করে পাকিস্তান।
এরপর হাসান নাওয়াজ ১৩ বলের ২৬ রানের এক ক্যামিও খেলে দেন। পরে মোহাম্মদ হারিসের অপরাজিত ১০৭ রানে ভর করে ১৬ বল বাকি থাকতেই জয় তুলে নেয় পাকিস্তান। বাংলাদেশের হয়ে ২ উইকেট সংগ্রহ করেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
এর আগে লাহোরে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৯৬ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। যা টি–টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের দলীয় সর্বোচ্চ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৬ রান করেন পারভেজ ইমন।
দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমন দুর্দান্ত শুরু এনে দেন বাংলাদেশকে। তামিম কিছুটা রক্ষণাত্মক মেজাজে ব্যাটিং করলেও ইমন রীতিমতো ঝড় তোলেন। ২৭ বলে ব্যক্তিগত ফিফটি স্পর্শ করেন তিনি। আরেক ওপেনার তামিম ফিরেছেন ফিফটি না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়ে। ৩২ বলে ৪২ রান করেছেন তিনি।
তামিমের বিদায়ে ভাঙে ১১০ রানের উদ্বোধনী জুটি। নিজেদের টি–টোয়েন্টি ইতিহাসে এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো উদ্বোধনী জুটিতে শতরান পেয়েছে বাংলাদেশ। এর তিনটিতেই জড়িয়ে আছে তামিমের নাম। তামিমের বিদায়ের পর আর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ইমন। তিন বল পরই বিদায় নিয়েছেন এই ওপেনার। সাজঘরে ফেরার আগে করেন ৩৪ বলে ৬৬ রান।
তিনে নেমে লিটন দাস করেছেন ১৮ বলে ২২ রান। আর তাওহিদ হৃদয়ের ব্যাট থেকে আসে ১৮ বলে ২৫ রান। শেষদিকে ৯ বলে অপরাজিত ১৫ রান করেন জাকের আলি।