বাংলাদেশে অন্যায়ভাবে ভারতীয় জেলেদের মাছ ধরা বন্ধ করতে হবে: ফরিদা আখতার
_-1210526.png?v=1.1)
বাংলাদেশের জলসীমায় ভারতীয় জেলেদের অন্যায়ভাবে প্রবেশ করে মাছ ধরা বন্ধ করতে হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, ভারতের জেলেরা যাতে আমাদের এলাকায় এসে অন্যায়ভাবে মাছ ধরতে না পারে, সেটি আমাদের বন্ধ করতে হবে। আমাদের কোস্ট গার্ড, নৌ–পুলিশ, নৌবাহিনী আছে এই দায়িত্ব তাদেরই পালন করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী জেলে সমিতির ১২তম জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
ইলিশ মাছের প্রজনন–নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে ফরিদা আখতার বলেন, আশ্বিনের পূর্ণিমার সময় ধরে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এই সময় নির্ধারণ করা হয়েছে গবেষণা ও জেলেদের মতামতের ভিত্তিতে। তাই ভারত কী করছে না করছে, সেটা আমাদের সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করবে না।
প্রাকৃতিক দুর্যোগে জেলেদের ক্ষতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দুর্যোগের সময় অনেক পরিবার জানে না, তাদের সদস্যরা বেঁচে আছে নাকি হারিয়ে গেছে। দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলে জেলেদের পরিবারকে সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে আমরা আলোচনা করছি।
মৎস্য সম্পদ রক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, নদী থেকে যে মাছ পাওয়া যায়, তা প্রকৃতির দান। মা মাছকে ডিম পাড়ার সময় দিতে হবে, ছোট মাছকে বড় হওয়ার সুযোগ দিতে হবে। মাছ রক্ষা করতে না পারলে কারও জীবন–জীবিকা টিকবে না।
জেলেদের ঋণ ও দাদন সমস্যা নিয়েও কথা বলেন ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, দাদন একটি বড় সমস্যা। বাংলাদেশ ব্যাংক এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। ‘মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন ব্যাংক’ প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের হাতে আছে। আপাতত কিছু এজেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে স্বল্পসুদে ঋণ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
আসন্ন নির্বাচন প্রসঙ্গে জেলেদের উদ্দেশে তিনি বলেন, নির্বাচন আসছে। আপনারা ভোট দেওয়ার আগে দাবি করবেন—যারা আপনাদের দাবি পূরণ করবে, তাদেরই ভোট দেবেন। ভোট একটি বড় নাগরিক অধিকার।
অবৈধ জাল ব্যবহার প্রসঙ্গে ফরিদা আখতার বলেন, কারেন্ট জাল, চায়না জালসহ নানা অবৈধ জাল ব্যবহার হচ্ছে। প্রকৃত জেলেরা জানে, মাছ বাঁচলে তবেই তাদের জীবন বাঁচবে। তারা কখনো অবৈধ পথে যায় না।