সূচক উর্ধ্বমুখী, কিন্তু লেনদেন নেমেছে তলানিতে

বেশ কয়েকদিনের টানা পতনের পর সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার (২০ অক্টোবর) দেশের পুঁজিবাজারে দেখা গেছে বড় ধরনের উত্থান। তবে সূচকের এই চাঙ্গাভাবেও লেনদেনের পরিমাণ আরও কমে এসেছে, যা গত চার মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) আজ মোট ৩৯৮টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৩০০টির দর বেড়েছে, ৫৩টির কমেছে এবং ৪৫টির দর অপরিবর্তিত ছিল। বেড়ে যাওয়া সিকিউরিটিজগুলোর মধ্যে ‘এ’ ক্যাটাগরির ১৬৭টি, ‘বি’ ক্যাটাগরির ৭৬টি ও ‘জেড’ ক্যাটাগরির ৫৭টি।
দরবৃদ্ধির প্রভাবে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬৭ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৩৩ শতাংশ বেড়ে ৫ হাজার ৪৪ পয়েন্টে উঠেছে। আগের দিন সূচকটি ছিল ৪ হাজার ৯৭৭ পয়েন্টে। অন্যদিকে, ডিএসই শরিয়াহ সূচক (ডিএসইএস) বেড়েছে ১৯ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৭৮ শতাংশ, অবস্থান নিয়েছে ১ হাজার ৮১ পয়েন্টে। আর বাছাই করা ৩০ কোম্পানির শেয়ার নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ২৮ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৪২ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৯৬৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
সূচক ঊর্ধ্বমুখী হলেও বাজারে লেনদেন কমেছে আরও। আজ ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৩৯৪ কোটি ৬৫ লাখ টাকার, যা আগের দিনের চেয়ে ৪৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকা কম। চলতি বছরের ২৪ জুনের পর এটিই সর্বনিম্ন লেনদেন। ওইদিন লেনদেন হয়েছিল ৩৭২ কোটি ৭০ লাখ টাকার।
অন্যদিকে, দেশের দ্বিতীয় পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকগুলো বেড়েছে, তবে সেখানে বেশির ভাগ শেয়ারের দাম কমেছে। সিএসইর সার্বিক সূচক (সিএসপিআই) বেড়েছে ৯ পয়েন্ট, দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ২৮৩ পয়েন্টে। আর সিএসসিএক্স সূচক বেড়েছে ১২ পয়েন্ট, অবস্থান ৮ হাজার ৭৯৬ পয়েন্টে।
সিএসইতে আজ ২১১টি কোম্পানি ও ইউনিটের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৮৩টির দাম বেড়েছে, ৯৪টির কমেছে এবং ৩৪টির দাম অপরিবর্তিত ছিল।
লেনদেনের পরিমাণেও সামান্য উন্নতি দেখা গেছে এই বাজারে। আজ সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকার, যা আগের দিনের ১০ কোটি ৭০ লাখ টাকার তুলনায় কিছুটা বেশি।