চলন্ত ট্রেনে তরুণীকে ধর্ষণ; এস এ করপোরেশনের খাদ্য সরবরাহ স্থগিত
সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেসে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে রেলওয়ে পুলিশ। গ্রেপ্তার তিনজনই ট্রেনে খাবার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এস এ করপোরেশনের কর্মী। একই ঘটনায় ট্রেনের পরিচালক (গার্ড) আবদুর রহিমকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে রেলওয়ে।
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন, খাবার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মী হলেন মো. জামাল (২৭), মো. শরীফ (২৮) ও মো. রাশেদ (২৭)।
এদিকে উদয়ন এক্সপ্রেসে এক তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় পাহাড়িকা-উদয়ন এক্সপ্রেসের মোট ৪টি ট্রেনে খাদ্য সরবরাহের দায়িত্বে থাকা এস এ করপোরেশনের সকল কার্যক্রম স্থগিত করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
বুধবার (২৬ জুন) বাংলাদেশ রেলওয়ের অ্যাসিস্ট্যান্ট চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার (আর-পূর্ব) মোহাম্মদ আবু বক্কর সিদ্দিকী স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনাপত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এস এ করপোরেশনের প্রোপ্রাইটর মোহাম্মদ শাহ আলমের উদ্দেশে দেওয়া নির্দেশনাপত্রে বলা হয়েছে, ‘গত ২৫ জুন দিবাগত রাত ১০টায় সিলেট স্টেশন থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস (৭২৪) ট্রেনে ক্যাটারিং সার্ভিস প্রদানের জন্য আপনার প্রতিষ্ঠানের নিয়োজিত কর্মচারী শরিফ গং কর্তৃক একটি অপরাধ সংঘটিত হয়েছে মর্মে প্রাথমিক তথ্য পাওয়া গেছে।’
‘এমতাবস্থায়, পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত পাহাড়িকা এক্সপ্রেস (৭১৯/৭২০) ও উদয়ন এক্সপ্রেস (৭২৩/৭২৪) ট্রেনে আপনার প্রতিষ্ঠানের দেওয়া ক্যাটারিং সার্ভিস পরিচালনাসংক্রান্ত সকল কার্যক্রম স্থগিত করা হলো।
এর আগে বুধবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনে ধর্ষণের শিকার হন ১৯ বছর বয়সী এক তরুণী। চলন্ত ট্রেনটি ওই সময় লাকসাম এলাকা পার হচ্ছিল। ভোরে এই ঘটনা ঘটলেও বিষয়টি জানাজানি হয় সন্ধ্যার পর। উদয়ন এক্সপ্রেস সিলেট থেকে মঙ্গলবার রাত ১০টায় চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে।
রেলওয়ে পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ওই তরুণী উদয়ন এক্সপ্রেসে করে চট্টগ্রামে আসছিলেন। তিনি সিলেট থেকে উঠে খাবার বগিতে অবস্থান করেন। ওই সময় খাবার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এস এ করপোরেশনের কয়েকজন কর্মী তরুণীকে প্রথমে উত্ত্যক্ত এবং পরে ধর্ষণ করেন।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম শহীদুল ইসলাম বলেন, উদয়ন এক্সপ্রেসের খাবারের বগিতে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডের প্রার্থনা করা হয়েছে। ওই তরুণী পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হবে।