শিল্পমন্ত্রীর ছেলেকে ফাঁসানোর অভিনব কৌশল, মাজহারের বহিষ্কার চায় স্থানীয়রা
গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী ও শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মাজহারুল ইসলাম।
নির্বাচনের আগের রাতে মন্ত্রীর ছেলে ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল মজিদ মাহমুদ সাদীর বিরুদ্ধে গুলির নাটক সাজান কাজী মাজহারুল ইসলাম। এর প্রতিবাদে এবং কাজী মাজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে মনোহরদী উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ।
আজ বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে মনোহরদী বাসস্ট্যান্ডে এই প্রতিবাদ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এমএস ইকবাল আহমেদের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এসএম রাশেদুল আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যান সম্পাদক তৌহিদ সরকার, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সহ সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান রুপন, উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল আলম, উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী ইসরাত জাহান তামান্না প্রমুখ।
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের ছেলে মঞ্জুরুল মজিদ মাহমুদ সাদীকে ফাঁসাতে এক ইউপি চেয়ারম্যানের ওপর গুলির নাটক সাজানোর অভিযোগ ওঠে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মাজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় সম্প্রতি যুবলীগ নেতা মাজহারুল ইসলামের একটি অভিডিও ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। তার পর থেকে গুলির নাটকের বিষয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় এলাকায়।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওসহ অডিওতে মাজহারুল ইসলামকে বলতে শোনা যায়, ‘হিরনকে (চন্দনবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান) বলবা জোরালোভাবে বলার জন্য যে সাদী ইয়া করছে। তিন-চার মিনিটের মধ্যে ডিসি আসতেছে। ২৫টা গাড়ি নিয়ে আসতেছে। সব লোকজনকে রাস্তায় বের হতে বলো। হিরনকে বলবা যেন সে স্পষ্টভাবে বলে সাদীই তাকে গুলি করছে। এটা যেন শক্তভাবে বলে এবং এটা তোমরা লাইভ করে ফেলবা।
পাঁচ-ছয়জনে লাইভ করলে ছোটার আর রাস্তা পাবে না। সব লোক জড়ো হইতে বলো। বিশাল বড় কিন্তু অবস্থান শো করতে হবে। বলবে হিরন যেন সুন্দরভাবে স্পিসগুলা দিয়ে দেয়। একেবারে স্পষ্টভাবে তারে (সাদী) যেন দোষী করে দেয়।’