দাউদ ইব্রাহিমসহ যেসব গ্যাংস্টারের প্রেমে পড়েছিলেন এই সাত বলিউড নায়িকা
বলিউড আর আন্ডারওয়ার্ল্ড—এই দুই জগতের সম্পর্ক নতুন নয়। একদিকে আলো ঝলমলে গ্ল্যামার, অন্যদিকে অন্ধকারের রাজত্ব। কখনো সিনেমার অর্থ এসেছে মাফিয়ার পকেট থেকে, কখনো আবার সিনেমার নায়িকাই হারিয়েছেন গ্যাংস্টারের প্রেমে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন সাত বলিউড নায়িকার কথা, যাদের জীবনে অপরাধজগতের ছায়া পড়েছিল গভীরভাবে।
মমতা কুলকার্নি: তারকা থেকে মাদক মামলার আসামি
নব্বইয়ের দশকে জনপ্রিয় ছিলেন মমতা কুলকার্নি। ‘তিরঙ্গা’ দিয়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ, তারপরই খ্যাতির শীর্ষে। সেই সময় বলিউডে আন্ডারওয়ার্ল্ডের প্রভাব ছিল প্রবল। শোনা যায়, দাউদ ইব্রাহিমের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছোট রাজনের সঙ্গে প্রেমে জড়িয়েছিলেন তিনি। রাজন দেশ ছাড়ার পর বিচ্ছেদ ঘটে। পরে মমতা বিয়ে করেন আন্তর্জাতিক মাদকচক্রের সঙ্গে যুক্ত ভিকি গোস্বামীকে। ২০১৭ সালে তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। মমতার দাবি সবই চলচ্চিত্রজীবনের উপার্জন, অপরাধ নয়।
মন্দাকিনি: এক ছবিতে খ্যাতি, এক ছবিতেই পতন
মনিকা বেদি: প্রেমের মূল্য কারাগার
মনিকা বেদি একসময় সালমান খান ও সুনীল শেঠির বিপরীতে অভিনয় করেছেন। কিন্তু আলোচনায় ছিলেন আবু সালেমের প্রেমিকা হিসেবে। ১৯৯৮ সালে দুবাইয়ে এক অনুষ্ঠানে তাঁদের প্রথম দেখা। সেখান থেকেই গভীর প্রেম। পরে নকল পাসপোর্টে বিদেশে ঘোরার অভিযোগে গ্রেপ্তার হন দুজনই। ভারতে প্রত্যর্পণের পর জেলেও যেতে হয়। কয়েক বছর পর মুক্তি পান মনিকা।
হিনা কাউসার: প্রযোজকের মেয়ে, গ্যাংস্টারের স্ত্রী
পরিচালক কে আসিফের মেয়ে হিনা কাউসার আশির দশকে কিছু ছবিতে অভিনয় করেন। ১৯৯১ সালে আলোচনায় আসেন যখন তিনি কুখ্যাত চোরাচালান ও মাদক ব্যবসায়ী ইকবাল মির্চিকে বিয়ে করেন। সে সময়ের অন্যতম আলোচিত বিয়ে ছিল এটি।
সোনা মাস্তান মির্জা: মধুবালার ছায়া হয়ে ওঠা নারী
আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন হাজি মাস্তান মধুবালাকে ভালোবাসতেন। কিন্তু মধুবালাকে বিয়ে করতে না পেরে মধুবালার মতো দেখতে সোনাকে বিয়ে করেন তিনি। বিয়ের পর থেকেই সোনাও আলোচনায় আসেন 'মাফিয়ার মধুবালা’ নামে।
জেসমিন ধুন্না: খ্যাতি থেকে রহস্যে
সত্তরের দশকের নায়িকা জেসমিন ধুন্না ‘ভিরানা’ ছবিতে জনপ্রিয়তা পান। গুঞ্জন ছিল, দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা ছিল। কিন্তু ১৯৮৮ সালের পর হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। আজও তাঁর কোনো সন্ধান মেলেনি।
আনিতা আয়ুব: প্রেম, বিতর্ক ও বিস্ফোরণ
পাকিস্তানের সুন্দরী আনিতা আয়ুব অল্প সময়ের জন্য বলিউডে কাজ করেন। দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয় বিতর্ক। খবর ছিল, এক প্রযোজক তাঁকে ছবিতে না নেওয়ায় দাউদের নির্দেশে তাঁকে হত্যা করা হয়। এমনকি ১৯৯৩ সালের মুম্বাই বিস্ফোরণের সঙ্গেও আনিতার নাম জড়িয়ে যায় বলে তদন্তে উঠে আসে।