পুরুষশূন্য মুরাদনগর
-1050853.jpg?v=1.1)
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কড়ইবাড়ি গ্রামে দুই সন্তানসহ এক নারীকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় এক দিন পার হলেও এখনো কোনো মামলা হয়নি এবং পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি। তবে গ্রেপ্তার আতঙ্কে এলাকা পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের ধরতে সেনাবাহিনীসহ যৌথ অভিযান চলছে এবং গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, মাদকসংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তুলে এলাকাবাসীকে উসকে দিয়ে গত বৃহস্পতিবার সকালে এ নৃশংস হামলা চালানো হয়। নিহতরা হলেন কড়ইবাড়ি গ্রামের খলিলুর রহমানের স্ত্রী রোকসানা বেগম ওরফে রুবি, তাঁর ছেলে রাসেল মিয়া এবং মেয়ে তাসপিয়া আক্তার ওরফে জোনাকি। গুরুতর আহত রোকসানার আরেক মেয়ে রুমা আক্তারকে প্রথমে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় ঢামেকে স্থানান্তর করা হয়।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে পুলিশ জানিয়েছে, নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে দুপুরে তাঁদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, রুবি ও তাঁর পরিবার দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক কারবার এবং বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে আসছিলেন। তাঁদের বিরুদ্ধে একাধিক থানায় মাদক, ডাকাতি ও সন্ত্রাসের মামলা রয়েছে। প্রশাসনের দীর্ঘদিনের নজরদারিতে থাকার পরও কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়ায় গ্রামবাসীর মধ্যে ক্ষোভ জমতে থাকে। সম্প্রতি একটি মোবাইল চুরির ঘটনায় রুবির পরিবারের সঙ্গে স্থানীয় বাছির নামের এক ব্যক্তির বিরোধ তীব্র আকার ধারণ করে। এরপর গত বৃহস্পতিবার সকালে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এলাকাবাসী রুবির বাড়িতে হামলা চালায় এবং বেধড়ক পিটিয়ে ও কুপিয়ে তিনজনকে হত্যা করে।
ঘটনার পর থেকে কড়ইবাড়ি গ্রামে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেক বাসিন্দা এলাকা ছেড়ে গেছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ও টহল জোরদার করা হয়েছে।
বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ করার কথা রয়েছে। অভিযোগ পেলে মামলা নেওয়া হবে। এ ছাড়া সেনাবাহিনীসহ আমাদের যৌথ অভিযান চলছে। দ্রুতই অভিযুক্ত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা হবে।’